‘সুপার সানডে’ পালনে যেভাবে পুরান ঢাকায় একত্রিত হয় ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীরা
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) এক শিক্ষার্থী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও তার আশেপাশের ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘সুপার সানডে’ ঘোষণা করে সমন্বিতভাবে পুরান ঢাকার কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
এ হামলায় অংশগ্রহণকারী রাজধানীর ৩৫টি কলেজ হলো আব্দুর রউফ, বিজ্ঞান কলেজ, নটরডেম, সিদ্ধেশ্বরী, ডিএমআরসি, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, খিলগাঁও মডেল কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল প্রমুখ।
জানা যায়, রাজধানীর এই ৩৫টি কলেজ একত্রিত হয় একটি ফেসবুক প্লাটফর্মের মাধ্যমে। যার নাম ইউনাইটেড কলেজ অব বাংলাদেশ, সংক্ষেপে ইউসিবি। ইউসিবি ফেসবুক পেইজের আবির সিহান নামে একজন পোস্ট করে লিখেন, কোন কলেজের হয়ে থাকছো সুপার সানডেতে? সেই পোস্টের কমেন্টে কে কোন কলেজ থেকে থাকবেন তা জানিয়েছিলেন।
সুপার সানডে নাম একটি মেসেঞ্জারে গ্রুপে একটি স্ক্রিনশর্টে দেখা যায় শাহরিয়ার নামে একজন লিখেছেন, থ্যাংক ইউ অল মাই ব্রাদার্স তোরা আজকে যেই ইউনিটি দেখাইছোস!
ইউসিবির ফেসবুক পেজে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ নভেম্বর আমাদের কার্যক্রম হবে দুটি অংশে। প্রথম অংশে সকাল ১০ টায় কলেজের সামনে অভিজিতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া ঘটনার অরেস ব্রিফিং করবো। পরবর্তীতে বেলা ১২টায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে যাত্রাবাড়ীতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।
একই গ্রুপে শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের নামে একটি প্যাডে তারা আজকের এই ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা আরও দাবি করেন তাদের কলেজের কোনো শিক্ষার্থী এর সঙ্গে জড়িত নয়।
এদিকে হামলা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কবি নজরুল কলেজের মেহেদী হাসান বলেন, ইউসিবি (ইউনাইটেড কলেজ বাংলাদেশ) হচ্ছে একটি জঙ্গি সংগঠন। তদন্ত করে ছবি দেখে এসব শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ইউসিবির নির্দেশের আজ ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীরা মিলে এমন ভাঙচুর করে। এদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।