স্বৈরাচারের সহযোগী শিক্ষকদের বহিষ্কারে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
ঢাকা কলেজ উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক (সম্মান) শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উসকানিদাতা ও স্বৈরাচারের সহযোগী শিক্ষকদের পদত্যাগের দাবিতে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা কলেজ অডিটরিয়ামে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভায় অধ্যক্ষের কাছে এ দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা।
জানা যায়, ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা আয়োজন করে কলেজ প্রশাসন। শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য চলাকালে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর ইস্যুতে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাগবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য চলাকালে স্নাতক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিলে কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্নাতক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে উসকানির মাধ্যমে ঢাকা কলেজ স্নাতক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন স্বৈরাচারের দোসর কতিপয় শিক্ষক।
আরও পড়ুন: সাত কলেজকে সমন্বিত প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা চলছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপলক্ষে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মইনুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের আমাদের (স্নাতক শিক্ষার্থীদের) কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হয়েছে। আমরা অডিটরিয়ামে বসতে পারিনি। আমরা কোনো কর্মসূচিতে থাকতে পারিনি। এটা কেন হয়েছে, এটা অধ্যক্ষ স্যারকে জবাব দিতে হবে। যারা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজক তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কেন ম্যানেজমেন্ট ভুল করেছে? তাদের এই ভুলের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমরা ক্যাম্পাসকে শান্ত রাখতে চাই।’
আরেক শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন রাকিব বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টা তার বক্তব্যে সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয়ের বিষয়ে কথা বললে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের একাংশ হল রুমে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগানে মুখরিত করে। বিষয়টি নিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে বড় ভাইয়েরা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনার জন্য যেসব শিক্ষক দায়ী তাদের পদত্যাগের দাবিতে জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে
এ প্রসঙ্গে ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ বলেন, ‘আজকের প্রোগ্রামটা একটু সিনক্রোনাইজেশন হয়েছে। এ জন্য যে আমরা যে সময় দিয়েছিলাম আর উপদেষ্টা মহোদয় যে সময় দিয়েছিলেন, সেটা সমন্বয় করতে গিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের ছুটি আগে হয়েছে। যার জন্য ওদের আটকিয়ে রাখা যায়নি বিধায় একটি জায়গায় আবদ্ধ রাখা হয়েছে। কাউকে বাদ দেওয়ার চিন্তা করেছে বলে আমার মনে হয়নি। শিক্ষা উপদেষ্টার সামনে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।’