তিতুমীরের আন্দোলনে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে অনেক দিন ধরেই আন্দোলন করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে প্রায় ৫ ঘণ্টা মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচি থেকে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। যাত্রীদের রক্তাক্ত হওয়ার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা গেছে ছাত্রলীগের কিছু নেতা কর্মীকে। বিষয়টি নিয়েও সামাজিক মাধ্যমে তৈরি হয়েছে সমালোচনা।
আজকের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বনানী থানার সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. বেলাল আহমেদ তালুকদার।
বেলাল আহমেদের ফেসবুকে প্রোফাইলে দেখা যায় আন্দোলনের পক্ষে বিভিন্ন পোস্ট। এছাড়াও আজকের অবরোধে তার অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক লাইভ করতে দেখা যায়।
বিষয়টি নিয়ে বেলাল আহমেদ তালুকদারের সাথে কথা বললে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন। ছাত্রলীগের সাথে তার কোনও ধরনের সংশ্লিষ্টতা ছিলো না। এছাড়া বনানী থানার কমিটিতে থাকার ব্যাপারেও তিনি কিছুই জানেন না। তার অজ্ঞাতে কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
পরবর্তীতে তার ফেসবুকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামের ছবি পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি জান বাঁচানোর জন্য ছাত্রলীগের সাথে ছিলেন। অনেক আগেই আমি ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে গেছি। এখন তাদের সাথে আর সম্পর্ক নাই।
তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনে ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এছাড়া আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের রেজাউল করিম সানি। সানি তিতুমীর কলেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্রুপের সভাপতি ছিলেন। এক সময় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে বাধা প্রধান করতে দেখা যায় তাকে।
আরও দেখা যায় তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দিদারুল ইসলাম সজীব, আকতার হোসাইনসহ আরও অনেক নেতা-কর্মীকে।