সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিল হচ্ছে
- ইলিয়াস শান্ত, অতিথি লেখক
- প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ PM , আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করে একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে বেশ কিছুদিন থেকে আন্দোলনে রয়েছেন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এমন অধিভুক্তি চাচ্ছেন না। অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদেরও বিভিন্ন সময় আন্দোলন করতে দেখা গেছে। দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বাইরে খোদ ঢাবি প্রশাসনও সাত কলেজের অধিভুক্তি রাখার বিপক্ষে। সব পক্ষের এমন তীব্র অসন্তোষের মধ্যে এবার সরকারের পক্ষ থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
২০১৭ সালে শিক্ষার মানোন্নয়নে রাজধানীর সাত কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে দেয় তৎকালীন সরকার। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ সিদ্ধান্ত ছিল অপরিকল্পিত। ফলে যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করা হয়েছিল, তা আট বছরেও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। তাই এ অধিভুক্তি ধরে রাখা অর্থহীন। এজন্য তাঁরা সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছেন। অন্যদিকে ঢাবি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজের অধিভুক্তির ফলে ঢাবি প্রশাসনকে অতিরিক্ত চাপে থাকতে হয়। যে কারণে তাঁরা পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তাদের সংকট ও সমস্যার চিত্র তুলে ধরেন। সমস্যা সমাধানে তারা ঢাবির অধিভুক্তি বাতিল করে সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। এরপর একই দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সবগুলো কর্তৃপক্ষকে তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন। তবে তাঁরা কোনো পক্ষ থেকে আশ্বাস না পেয়ে অক্টোবরজুড়ে ধারাবাহিক বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলন ও তীব্র অসন্তোষের মধ্যে সরকার এবার সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। তবে সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিল হলে কোন প্রক্রিয়ায় এ কলেজগুলো চলবে বা শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব কি না, সরকার আগে সম্ভাব্য এমন বিকল্পগুলো খুঁজে দেখছে।
প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে গত ৫ নভেম্বর সাত কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের একটি দল অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে শিক্ষা উপদেষ্টা সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন। ঢাবি অধিভুক্তি বাতিল হলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্বতন্ত্র পরিচয় বা পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো কেমন হতে পারে, সে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সময় চেয়েছেন।
শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বৈঠক নিয়ে পরদিন ৬ নভেম্বর ঢাকা কলেজের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আ ন ম নজিব উদ্দিন খান খুররম অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। লিখিত বক্তব্যে ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের প্রতিনিধি নাইম হাওলাদার বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের দাবির যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ‘স্বতন্ত্র পরিচয়’ নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ঢাবি শিক্ষার্থী ও প্রশাসন কেউই এই অধিভুক্তি চায় না। তাই তিনি দুই পক্ষের অবস্থান বিবেচনায় আমাদের এই আশ্বাস দিয়েছেন।’
শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের ইতিহাস (স্নাতকোত্তর) বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের প্রতিনিধি জাকারিয়া বারী সাগর। তিনি জানান, ‘সরকারের পক্ষ থেকে থেকে আমরা আমাদের দাবি অনুযায়ী সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। আমরা শিক্ষার্থীরা সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা রেখে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করেছি। তবে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা ফের কর্মসূচি শুরু করব।’ তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করার বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। একই সঙ্গে অধিভুক্তি বাতিল হলে আমাদের পেছনে না ফেরানোর বিষয়েও আমরা নিশ্চয়তা পেয়েছি। আমরা তাঁর প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস রাখতে চাই। তিনি সাত কলেজের জন্য একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান গঠন করতে আমাদের থেকে সময় চেয়েছেন। আমরা এ সময় দিতে চাই। কিছুটা দেরিতে হলেও যেন শিক্ষার্থীদের জন্য একটা উপযুক্ত সমাধান আসে, আমরা সে প্রত্যাশাই করছি।’
মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি স্বতন্ত্র পরিচয় বা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান গঠনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে। তাঁরা শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে অবকাঠামোগত সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ক্যাম্পাসগুলো পরিদর্শন করবেন। শিগগিরই এ কার্যক্রম শুরু হবে।
ঢাবিকে জানানো হয়েছে সরকারের ভাবনা
সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করতে চায়—এমন একটি পরিকল্পনার কথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সরকার সাত কলেজকে ঢাবি থেকে পৃথক করতে চায়, এমন একটি ইঙ্গিত আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক আলাপ হয়েছে বলেও আমাদের জানানো হয়।’
অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজকে পৃথক্করণ করা হোক, এটা আমরাও চাই। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিগগিরই আমাদের ডাকবে। পৃথকীকরণের বিষয়ে সরকার আমাদের ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও আলাপ করবে। এ ছাড়া আমরা নিজেরাও এ বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। পৃথকীকরণের বিষয়ে আমরা সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেব।’
সাত কলেজ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কলেজগুলোর একাডেমিক ও প্রশাসনিক সমস্যা সমাধানে গত ২৪ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে সভাপতি করে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে। এ কমিটির ৬ সপ্তাহের ৩ সপ্তাহের বেশি সময় শেষ হয়েছে। এর মধ্যে কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ খালেদ রহীম বদলি হয়ে যাওয়ায় তাঁর স্থলে নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন একই পদবির মো. রবিউল ইসলাম।
জানতে চাইলে কমিটির সদস্যসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম গত শনিবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘কমিটির সাবেক সভাপতির নেতৃত্বে আমাদের তিন সপ্তাহের কাজের একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন গত সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। সেখানে আমরা বলেছি, সাত কলেজের অনেক কলেজে শিক্ষক-সংকট রয়েছে। এ সংকট যাতে দ্রুত নিরসন করা সম্ভব হয়, এজন্য আমরা মাউশিকে চিঠি দেব। যাতে করে তাঁরা সাত কলেজে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করেন।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ কমিটি মূলত সংস্কারে সুপারিশ করবেন। শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে আমাদের যে ৬ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করতে পারব। এখনো যে সময় আছে, সে সময়ের মধ্যে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বসব। আমরা কলেজগুলোকে তাদের সমস্যাগুলো জানাতে বলেছি। তারা কিছু কিছু সমস্যা আমাদের জানিয়েছে। সেই আলোকে আমরা রিপোর্ট তৈরি করছি।’
শিক্ষার্থীদের স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় দাবির বিষয়টি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয় আছে, যেগুলো নিষ্পত্তি করতে দীর্ঘ সময়ের দরকার। এর মধ্যে সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে থাকবে কি না বা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হবে কি না, কিংবা কারিকুলামে কোনো পরিবর্তন হবে কি না—এ রকম বিষয় নিয়ে আমাদের যে কমিটি, তারা কিছু বলবে না। কারণ শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের বিষয়টি আমাদের পর্যায়ের নয়। এটি জাতীয় ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ বা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়। সেখানে হয়তো ছাত্রপ্রতিনিধিও থাকতে পারেন।’
তবে ৬ সপ্তাহ শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবে, সেখানে তারা শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া ঠিক করতে একটি ‘হাই-ভোল্টেজ’ কমিটি গঠনের সুপারিশ করবে। শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মাউশি, দেশের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদের সমন্বয়ে একটি হাই-ভোল্টেজ কমিটি করে দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করব। আমাদের প্রতিবেদনের পর এ কমিটি গঠন করা হবে। এরপর হাই-ভোল্টেজ কমিটির পরামর্শের আলোকে বড় ধরনের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।’
২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজগুলো হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার পর থেকে কলেজগুলোতে নানা ধরনের সমস্যা লেগেই রয়েছে। পাঠদানে সমন্বয়হীনতা, খাতার অবমূল্যায়ন, ফল বিপর্যয়সহ নানা সমস্যা এখনো চলমান রয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। এর আগে এ কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত ছিল।
অধিভুক্তি বাতিল হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে না সাত কলেজ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ খালেদ রহীম জানিয়েছেন, ‘সাত কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরানোর কোনো গ্রাউন্ড তৈরি হয়নি। তাই এ মুহূর্তে এসব কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরানোর কোনো সম্ভাবনাও নেই। আবার ঢাবির অধীনেই যদি থেকে যেত, তাহলে তো কমিটি করার দরকার ছিল না। এ কারণে আমাদের নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এর পেছনের যৌক্তিকতা লাগবে। কোন কারণে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কন্টিনিউ করতে চাই বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেও কেন ফিরে যেতে চাই না। মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি সে বিষয়ে কাজ করছে।’
সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় ইউজিসি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউসিজি) চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের চলমান সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় করতে গেলে কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হয়। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সরকারকে দেনদরবার করতে হয়। আমরা শুনেছি, সাত কলেজের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সে কমিটি এখনো কাজ করছে। এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে যদি আমাদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়, তাহলে আমরা সে নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।’