ভারতীয় প্রেমচাঁদ ফেলোশিপ পেতে যাচ্ছেন রাবি অধ্যাপক
সাহিত্য অঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখায় ভারতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রেমচাঁদ ফেলোশিপ পেতে যাচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদী। আগামী ১৯ নভেম্বর দিল্লি সাহিত্য অকাদেমির অডিটোরিয়ামে তাঁকে এই ফেলোশিপ দেওয়া হবে। এই ফেলোশিপ বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্য থেকে প্রতি বছর একজন বিশিষ্টজনকে প্রদান করা হয়।
আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক সামাদী নিজেই। আগামীকাল তিনি ভারতে যাবেন বলে জানান।
ভারতের সাহিত্য অকাদেমির সেক্রেটারি ড. কে. শ্রীনিবাসরাও স্বাক্ষরিত এক অফার লেটার থেকে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই অধ্যাপক সফিকুন্নবীকে এই ফেলোশিপের জন্য অফার লেটার পাঠায় সাহিত্য অকাদেমি। এই ফেলোশিপের মেয়াদ ১৫ দিন। আগামীকাল তাকে ভারতে যেতে হবে। যাতায়াত ও খাওয়া-দাওয়ার খরচ সাহিত্য অকাদেমি বহন করবে। এছাড়া অধ্যাপক সামাদীকে মোট ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। তাকে ভারতে ১৫ দিন অবস্থান করতে হবে। দিল্লি, কলকাতা ও মুম্বাই এই তিনটা শহরে তিনটা বক্তৃতা দিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, ‘এই ফেলোশিপের জন্য সাহিত্য অকাদেমি আমাকে অফার লেটার পাঠায় এবং আমি তা গ্রহণ করি। আমি যে গবেষণাগুলো করেছি তার উপরেই তারা আমাকে এই ফেলোশিপ দিবেন। মূলত আমার গবেষণা ও অনুবাদে অবদান রাখায় তারা আমাকে বেছে নিয়েছেন।’
‘এটা অবশ্যই একটি সম্মাননার ব্যাপার। পুরস্কার পেলে অবশ্যই অনেক ভালো লাগা কাজ করে। তবে পুরস্কার পাওয়ার সাথে সাথে অনেক দায়িত্বও বেড়ে যায়। আমাকে যে কাজের জন্য পুরস্কারটা দেওয়া হয়েছে তার প্রতি আরো এক বড় দায়িত্ব বেড়ে গেছে। যতদিন সামর্থ্য থাকে ততদিন কাজ করে যেতে হবে’, অধ্যাপক সামাদী যোগ করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার পিএইচডি-তে মুন্সী প্রেমচাঁদ ও শরৎচন্দ্রের কম্পারেটিভ স্ট্যাডি করেছি। এছাড়া তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ও নজরুলের গান নিয়ে কাজ করেছি। উর্দু ও হিন্দি থেকে প্রায় ২০টি বই অনুবাদ করেছি।’