গার্মেন্টস কর্মী হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
সাভারে গার্মেন্টস কর্মী শান্তনা হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। এ সময় উপদেষ্টা পরিষদের নিকট বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নির্মূলের দাবি জানান তারা।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়ামোড় থেকে মশাল মিছিল শুরু করে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে গিয়ে সমবেত হয়।
মিছিলে তারা আমার বোন মরলো কেনো? প্রশাসন জবাব চাই। শ্রমিক হত্যার পরিণাম, বাংলা হবে ভিয়েতনাম; শান্তনা হত্যার বিচার চাই; জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো; আমরা আছি থাকবো, যুগে যুগে লড়বো; আমাদের ধমনীতে, লাখো শহিদের রক্ত ইত্যাদি স্লোগান দেন।
ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সাদিয়া মাহমুদ মীম বলেন, আমরা নয়া বিপ্লবের পর সিস্টেম চেঞ্জ করতে চাই। কিন্তু পারিবারিক সিস্টেমে প্রতিনিয়ত নারীরা যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তার কথা আমরা কেউ বলি না। রাষ্ট্রীয় সিস্টেম চেঞ্জ করার আগে পারিবারিক সিস্টেমে পরিবর্তন আনুন। আমাদের দরিদ্র বোন শান্তনা ফ্যামিলিকে চালানোর জন্য আর্থিক সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছিলো। সেখানে পরকীয়ার সন্দেহের জেরে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তাহলে আমার মা বোনেরা নিরাপদ কোথায়? আমরা অনতিবিলম্বে হত্যাকারীর বিচারের দাবি জানাই।
ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নূর আলম বলেন, শান্তনাকে তার স্বামী পাশবিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আপনারা অবগত আছেন সান্তনাকে তার স্বামী পরকীয়া সন্দেহে দুই হাত বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেছে, আমরা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সংসদ এ ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসাথে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতের বিচারের দাবি জানাই।
ইবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এদেশে নতুন নয়। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকে এ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলে আসছে। আমরা আশা করেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার এই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমিয়ে আনবে। কিন্তু আমরা তার বিপরীত দেখতে পাচ্ছি। বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিককে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য এখনও মাঠে নামতে হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশে আমরা এরকম আন্দোলন চাইনা। আমাদের দাবি, যে বোনকে পাশবিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে ঢাকার সাভার উপজেলার বিরুলিয়ার দত্তপাড়া এলাকা থেকে শান্তনা বেগম (৩৬) নামের এক গৃহবধূর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।