তিন দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ PM , আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবিসহ তিন দফা ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা একটার দিকে এ অবরোধ শুরু করেন তারা।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণপদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গণপদযাত্রায় দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমি কে, তুমি কে, জবিয়ান, জবিয়ান’, ‘মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম, সংগ্রাম’, ‘অধিকার না অন্যায়, অধিকার, অধিকা ‘সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
আন্দোলনের মুখপাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি গুলোর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রনালয়কে তিন দিনের একটি আল্টিমেটাম দেব। এবং হিট প্রকল্পের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের মধ্যেই লিখিত দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: শাটল বাস চালু করল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
আন্দোলনের সংগঠক এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা আজ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেব। পাশাপাশি তিন কার্যদিবসের সময় দেব।’
শিক্ষার্থীদের তিন দাবি হলো স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল ), অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সকল অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: জবিতে র্যাগিংয়ের অভিযোগ পেলেই বহিস্কার
এর আগে গত ৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোয় নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান ও অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সুবিধা দেওয়ার জন্য অর্থ সংস্থান নিশ্চিত করতে হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে ইউজিসি। এ প্রস্তাবের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।