০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৯

কিউএস এশিয়া র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ২৯ বিশ্ববিদ্যালয়

  © লোগো

কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৫-এ বাংলাদেশের ২৯টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এর মধ্য ১৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া তালিকায় আন্তর্জাতিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে। 

তবে র‍্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পেলেও কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই এশিয়ার সেরা ১০০ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়নি। এবারও র‍্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে আছে চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি (বেইজিং)।

আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) এশিয়ার সেরা ৯৮৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাঙ্কিং মূল্যায়নকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি। প্রতি বছরের নভেম্বর মাসে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত তালিকার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশসেরা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এশিয়ার মধ্যে তাদের অবস্থান ১১২তম। ২০২৪ সালে ঢাবির অবস্থান ছিল ১৪০তম। সে হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ৩৮ ধাপ এগিয়েছে। 

অন্যদিকে, দেশের হয়ে তালিকার শীর্ষ ২০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্য রয়েছে আরও দুটি উচ্চশিক্ষালয়। এগুলো হচ্ছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এবার বুয়েটকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। তালিকার বিশ্ববিদ্যালয় দুটির অবস্থান যথাক্রমে ১৫৫তম ও ১৫৮তম। এর আগে গতবছর ‘এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪’-এ বুয়েটের অবস্থান ছিল ১৮৭ এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অবস্থান ১৯১তম।

এই র‍্যাঙ্কিং প্রধানত ১১টি সূচকের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে একাডেমিক কার্যক্রম, পিএইচডিধারী কর্মী ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিবেচনা করা হয়েছে।

২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর প্রকাশিত কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং এ অঞ্চলের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা নির্ণয় করে আসছে।

এশিয়ার সেরা ৯৮৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাবি, নর্থ সাউথ ও বুয়েট ছাড়া বাংলাদেশ থেকে তালিকায় রয়েছে আরও ২৬টি আন্তর্জাতিক, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সেরা দশে রয়েছে-চতুর্থ স্থানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি (২৫৩তম), পঞ্চম স্থানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (২৮০তম), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (২৯২তম), ৬ষ্ঠ স্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (৩২০তম), সপ্তম স্থানে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৪২), অষ্টম স্থানে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৫৭), নবম স্থানে খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৪০১-৪১০তম) এবং দশম স্থানে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (৪২১-৪৩০)।

এছাড়া আরও রয়েছে- রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-রুয়েট (৪২১-৪৩০), ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় (৪৪১-৪৫০), আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৪৬১-৪৭১),  ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৪৬১-৪৭১), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (৪৬১-৪৭১), স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (৫৪১-৫৬০), ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-ইউআইইউ (৫৬১-৫৮০), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৬০১-৬২০), ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (৬২১-৬৪০), ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (৬৪১-৬৬০), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (৬৪১-৬৬০), ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (৬৮১-৭০০), ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ-আইইউবি (৭৫১-৮০০), ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ-ইউল্যাব (৮০১-৮৫০), ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৯০০+),  গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (৯০০+), হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৯০০+), ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (৯০০+)।