০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৩৩

৩ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা জবির শিক্ষার্থীদের

প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান  © টিডিসি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার ‘শিক্ষার্থীবৃন্দ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’-এর ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভবনের প্রধান ফটকে তালা দেন।

বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা, ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আবাসন, কবে দিবে প্রশাসন?’, ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, যত পারো রক্ত নাও, সেনাবাহিনীর হাতে ক্যাম্পাস দাও’, ‘জমি নিতেই ৬ বছর, হল হতে কয় বছর’, ‘টেন্ডারবাজ প্রশাসন চলবে না, চলবে না, মুলা ঝোলানো প্রশাসন চলবে না, চলবে না’, ‘বছরের পর বছর যায় প্রশাসন শুধু মুলা ঝুলায়’সহ প্রশাসনের উদ্দেশে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন।

আরও পড়ুন: জবি শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো
১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ কর্মকর্তাদের হাতে এ দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।

২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা আসতে হবে যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে দেওয়া হয়েছে এবং হস্তান্তর প্রক্রিয়ার রূপরেখা স্পষ্ট করতে হবে।

৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরোেো ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল করতে হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বী বলেন, ‘তিন দফা দাবিতে আমরা আজ প্রশাসনিক ভবনের দুটি গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিচে এসে আমাদের সঙ্গে কথা না বলছে আজকের এই কর্মসূচি চলতে থাকবে।’

আরও পড়ুন: জবিতে ময়লার ভাগাড় পরিষ্কার করে ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে উপাচার্য হলে দাবি আদায় হবে, কিন্তু তা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মুলা ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা আর মুলায় বিশ্বাসী না। যদি কেউ মনে করে, চক্রান্ত করে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজে দুর্নীতি করবেন, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের উৎখাত করতে প্রস্তুত আছে।’

এরপর শিক্ষার্থীরা প্রকল্প পরিচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে তৃতীয় দিনে ক্লাসে ক্লাসে ক্যাম্পেইন ও জনমত গঠন করার কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আজকের মতো তাদের আন্দোলন সমাপ্ত করেন৷