পাবিপ্রবির হলে নিম্নমানের খাবারের চড়া দাম, ভোগান্তি-খরচ বেড়েছে শিক্ষার্থীদের
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) একমাত্র আবাসিক হলের ডাইনিংয়ে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন, দাম বৃদ্ধি,টোকেন থাকা সত্ত্বেও খাবার না পাওয়াসহ নানান অভিযোগ করেছেন শিখ্ষার্থীরা। বাধ্য হয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের আশপাশে বিভিন্ন দোকানে অথবা নিজেদের রান্না করে খেতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। অন্যদিকে রান্না করে খাওয়ায় অপচয় হচ্ছে বিদ্যুৎ ও সময়।
শিক্ষার্থীরা জানান, হলের ডাইনিংগুলোতে নিম্নমানের চালের ভাত দেওয়া হয়। প্রতিদিনের খাবারে মেন্যুতে থাকে একই রকম আইটেম। দুপুর ও রাতে একই ধরনের মাছ, মাংস এবং ডিম সরবরাহ করা হয়। এর পরিমাণও খুবই অল্প।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সালাহউদ্দিন কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে অন্যতম হলো ডাইনিং সমস্যা। বর্তমানে যারা হলের শিক্ষার্থী আছেন, তারা সবাই নিয়মিত। যথাযথ নিয়ম-নীতি মেনে সবাই হলে উঠেছেন। কিন্তু পড়াশোনার জন্য যে জিনিসটির ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, সেটা হলো আমাদের খাওয়া দাওয়া। ডাইনিংয়েরর খাওয়া-দাওয়ার মানের বিষয়ে সবাই একমত।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আগে মাছ ও মাংস ৪০ টাকা, ডিম ৩৫ টাকা ছিল। তখন ও খাবারের মান ভালো ছিল না। এখন ৫ টাকা বাড়ানো হলেও মানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাহলে ৫ টাকা বাড়িয়ে লাভ কি হলো, এমন প্রশ্ন তাদের। হলের খাবারও দ্রুত শেষ হয়ে যায়। খাবার টোকেন থাকলেও খাবার পাওয়া যায় না।
আরো পড়ুন: নতুন বই সময়মতো দেওয়া নিয়ে সংশয়, গুরুত্বপূর্ণগুলো আগে ছাপার পরামর্শ
তাদের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগের পর বেশ কিছুটা সময় পার হলেও স্থায়ী হলের ডাইনিংয়ের বিষয়টি সমাধান হয়নি। হল প্রভোস্ট বরাবর অনেকবার জানানো হয়েছে, তবুও প্রতিকার মেলেনি। এ বিষয়ে প্রশাসন থেকে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা তাদের।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আমিরুল ইসলাম মিরু বলেন, হলের ডাইনিং নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনেক অভিযোগ ছিল। যারা ডাইনিং ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, তাদের সঙ্গে বসেছি। পরামর্শক্রমে ১ নভেম্বর ডাইনিং থেকে অন্য একজনকে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিয়েছি। ১৫ দিন দেখি, তারা খাবারের মান ঠিক রেখে চালাতে পারে কিনা। তারপর প্রয়োজন হলে নতুন ব্যবস্থা নেব। ডাইনিং পরিচালনায় ভর্তুকি দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয়ভাবে আলোচনা হচ্ছে। আশা করি, একটা ভালো সিদ্ধান্ত আসবে।