লাইব্রেরির শৌচাগারে চলছে ডাকঘরের কার্যক্রম!
ধবধবে সাদা রঙের ছোট একটি অবকাঠামো। বাইরে নামফলক সাঁটা রয়েছে। তাতে লিখা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সাব-পোস্ট অফিস। ছোট হলেও বাইরে থেকে দেখে পরিপাটিই মনে হয়। তবে ভেতরে গিয়ে চোখে পড়ল ভিন্নচিত্র। অবকাঠামোটির ভিতরের একপাশে ভাঙাচোরা অব্যবহৃত শৌচাগার। সেখান থেকে আসছে তীব্র দুর্গন্ধ। তার ঠিক পাশেই কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে চলছে ডাকঘরের কার্যক্রম। শৌচাগারে ডাকঘরের কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় এখানে সেবা নিতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে এখানের কর্মরতরাও জানিয়েছেন নানা অভিযোগ।
প্রতিষ্ঠার একযুগ পর গত ৪ অক্টোবর ছোট একটি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-ডাকঘরের যাত্রা শুরু হয়। জানা গেছে, আগে কক্ষটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৌচাগার হিসেবে ব্যবহৃত হত। কক্ষটির পুরোপুরি সংস্কার না করে ডাকঘর নির্মাণ করায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে কক্ষটির অরক্ষিত নির্মাণ কাঠামোর কারণে এখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাত্র দুজন কর্মী ও একজন সাব-পোস্ট মাস্টার দিয়ে চলছে এর কার্যক্রম ছোট একটি কক্ষে একটি টেবিল, কয়েকটি চেয়ার আর দু’টি আলমারি ছাড়া তেমন কোনো আসবাবপত্র নেই সেখানে। সাব-পোস্ট মাস্টার মো. শাহাবউদ্দিন জানান, মাত্র দুজন কর্মী নিয়ে কাজ করতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে তাকে। সেখানে আরও একজন কর্মী প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, কক্ষটির জানালায় ত্রুটি থাকায় তথ্য চুরির সম্ভাবনা রয়েছে তবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান আশ্বস্ত করেছেন খুব শীঘ্রই ডাকঘরের জন্য একটি বড় কক্ষের ব্যবস্থা করা হবে ।
প্রসঙ্গত, ডাকঘরটি থেকে স্বল্প খরচে প্রয়োজনীয় অর্থ, কাগজপত্র ও মালামাল পাঠানো যাবে। যেমন-সাধারণ পত্র ৫টাকা (১০ গ্রাম), সাধারণ পত্র (রেজিস্ট্রি) ১০টাকা, ৫ কেজি ভরের জন্য ১০৫টাকা। এতে সময় লাগবে ২ থেকে ৩ দিন। সীমিত ব্যয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আদান প্রদানের ব্যবস্থা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন।