কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা সিকৃবি শিক্ষার্থীদের
দিনভর বিক্ষোভ শেষে দাবি মেনে নেয়ায় ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বুধবার লিখিত আকারে দাবি মেনে নিলে বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকাল পাঁচটায় উপাচার্যের সাথে আলোচনার পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সোহেল আহমেদ অয়ন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আমাদের ৮ দফা দাবির মধ্যে মূল দাবি ছিল প্রক্টরের পদত্যাগ। তবে প্রশাসন তদন্তের সময় চেয়েছে। প্রশাসন জানায় তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রক্টরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে এবং আমরা এ দাবি মেনে নিয়েছি। বিষয়টি কাল লিখিত আকারে দিলে পরশুদিন থেকে ক্লাস পরীক্ষা চালু থাকবে।
রেজিস্ট্রার ও জনসংযোগ কর্মকর্তার পদত্যাগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের পদত্যাগ দাবি যে কারণে ছিল সেটি ভুলক্রমে হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিষয়টি তদন্তের ব্যাপার, তবে এর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তারা এবং আমরা মেনে নিয়েছি। এছাড়া তারা আমাদের বাকি দাবিগুলোও মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে, আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বেলা এগারোটার দিকে টিএসসিতে জড়ো হোন শিক্ষার্থীরা। টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের দিকে এগিয়ে যান এবং উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করলে বাইরে দিয়ে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। দিনভর সেখানে অবস্থান করে বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা।
পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে চারটায় শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার জন্য নিচে নেমে আসেন সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলিমুল ইসলাম। এসময় গেট খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীরা একে একে দাবিগুলো আবার পেশ করলে উপাচার্য সেগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, ভর্তি পরীক্ষার রাতে সিকৃবিতে ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘ছাত্রদলের সাথে ছাত্রলীগ সমর্থিত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ’ বলা ও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় লাগানো ব্যানার ছেঁড়ার ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃক রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড বলার প্রতিবাদে (২৭ অক্টোবর) থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন এবং প্রশাসনিক ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদে তালা দেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর গতকাল (২৮ অক্টোবর) শিক্ষার্থীদের ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সাথে আট দফা দাবির ব্যাপারে আলোচনায় বসেন। তবে বৈঠক শেষে তাদের মূল দাবি মেনে নেয়া হয়নি এবং বিভিন্ন হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। ফলে আজ পর্যন্ত গড়ায় ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি।