নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
দখলদার ইসরাইলের হামলায় হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহতের ঘটনায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) মাগরিবের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থী সাদ কবির বলেন, ইয়াহহিয়া সিনওয়ার আমাদের তরুণ সমাজের জন্য আইকন। ৬৩ বছর বয়সে উনি দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষায় নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে যে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তা থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। তার এই উৎসর্গ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের দেশ, জাতিসত্তা ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার অনুপ্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন, দেশ ও জাতির প্রতি কতটুকু ভালবাসা থাকলে একটা মানুষ রক্তাক্ত লুটিয়ে পড়া শরীর নিয়ে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা দেখেছি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েও হার না মানা সেই সৈনিকটি ছিলেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এর প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। দেশ মাতৃকার প্রতি ও জাতির জন্য এমন প্রেম ও আত্মত্যাগ বাংলাদেশ সহ প্রত্যেকটি মুসলিমের হৃদয়ে যেনো বারে বার প্রকম্পিত হয় সেই আশাবাদ ব্যক্ত করি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর রাতে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার দাবি করে ইসরায়েল। সিনওয়ারের মৃত্যুর ঠিক আগে মুহূর্তের ড্রোন ফুটেজও প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কয়েকমাসের মধ্যেই সিনওয়ারকে হত্যার দাবি করছে ইসরায়েল বাহিনী। গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে হানিয়া নিহত হওয়ার পর ৬ আগস্ট ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে নতুন নেতা হিসেবে বেছে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলো হামাস।