১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:০৫

ব্রেকআপের পর প্রেমিকাকে হুমকি ছাত্রলীগ নেতার

ছাত্রলীগ নেতা মো. তাওফিক মাহমুদ  © সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় বংশালের নবাবপুর রোডের গোলকপাল লেনের সামনে নিহত হন মনিরুল ইসলাম অপু (৫৫)। এই ঘটনায় বংশাল থানায় হত্যা মামলা করেন মৃত মনিরুল ইসলাম অপুর ছেলে রবিউল ইসলাম শাওন। সেই মামলার ৫নং আসামি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা মো. তাওফিক মাহমুদ। তিনি হামলায় অস্ত্র বহন ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত হন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

হত্যা মামলার এই আসামিকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি বংশাল থানা পুলিশ। এবার তার বিরুদ্ধে সুত্রাপুর থানায় অভিযোগ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্কে ব্রেকআপের পর তাকে হুমকি দিচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা মো. তাওফিক মাহমুদ।

অভিযোগে ওই নারী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, মো. তাওফিক মাহমুদ (৩০) পিতা-মো. আব্দুল হান্নান মোল্লা, মাতা-হাজেরা বেগম সাং-স্থায়ী-খোদ ভালুকা, ডাকঘর-পাল্টী কুমারখালী জেলা: কুষ্টিয়া। এ/পি-কলতাবাজার বিসমিল্লাহ হোটেলের পাশে থানা-সূত্রাপুর ঢাকার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি বিবাদীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গত ১০ জুলাই ব্রেক-আপ হলে বিবাদী আমার ইউনিভার্সিটির ছাত্র হওয়ায় বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমাকে বারবার বিরক্ত করাসহ হুমকি প্রদর্শন করেন।

সর্বশেষ ২৮ সেপ্টেম্বর অনুমানিক ৬টায় সূত্রাপুর থানাস্থ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে তার মোবাইল থেকে পুনরায় আমাকে হুমকি প্রদান করেন। তার এমন আচরণে আমার ব্যক্তিগত ও সামাজিক ক্ষতির আশঙ্কা বিদ্যমান। বিধায় ওই বিবাদির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ডায়েরি করা একান্ত প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, উপরোক্ত বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, তাওফিক মাহমুদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১০ম ব্যাচের ছাত্র। আর মেয়েটি ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

অভিযোগের বিষয়ে ওই নারী শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, তাওফিক মাহমুদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। ব্রেকআপের পর সে আমাকে বিভিন্নভাবে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেয়। বর্তমানে সে মোবাইলে বিভিন্ন জায়গায় থেকে কল দিয়ে হুমকি দিচ্ছে। আমি জীবনের নিরাপত্তার জন্য সুত্রাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।