বরিশালের বাজার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্সে ববি শিক্ষার্থী রাকিন
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ চেইন তদারক ও পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে ‘বিশেষ টাস্কফোর্স’ কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাকিন খানকে। বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
৯ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সার্বিক) আহ্বায়ক ও ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারী চালককে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বরিশাল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, বরিশাল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিন খান, সরকারি বি এম কলেজের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সরদার মোহাম্মদ।
কমিটির সদস্য রাকিন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অনুগ্রহে আমি এই দায়িত্ব পেয়েছি, এটি আমার ব্যক্তিগত অর্জন নয়। আমার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা, যা জনগণের স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে। বাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যারা অবৈধ মজুদদারি করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি, জনগণকে পাকা রশিদ গ্রহণ, মজুদদারির তথ্য সরবরাহ এবং নিজস্ব চাষাবাদে মনোযোগী হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমবায় উদ্যোগ এবং সঠিক বণ্টনের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল বাজার গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর, ইনশাআল্লাহ।
প্রজ্ঞাপনে টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, টাস্কফোর্স নিয়মিত বিভিন্ন বাজার, বৃহৎ আড়ৎ, গোডাউন, কোল্ড স্টোরেজ ও সাপ্লাই চেইনের অন্যান্য স্থানসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন করবে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার বিষয়টি তদারক করবে।
টাস্কফোর্স উৎপাদন, পাইকারি ও ভোক্তা পর্যায়ের মধ্যে যাতে দামের পার্থক্য নূন্যতম থাকে তা নিশ্চিত করবে ও সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে মত বিনিময় সভা করবে। টাস্কফোর্স প্রতিদিনের মনিটরিং শেষে একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে প্রেরণ করবেন।