বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ছাত্রীর উপর হামলা
ক্লাস শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থেকে ফেরার পথে চলন্ত বাসে দুই ছাত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা ও হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ থেকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কাজ সমাপ্ত করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারীকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটির অপর সদস্য হচ্ছেন আল ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছা. হামিদা খাতুন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অদ্য ৮/১০/ ২০২৪ তারিখে অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনা ও মার্কেটিং বিভাগের চার জন শিক্ষার্থীর লিখিত আবেদন এবং ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।’
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকাল চারটার বাসে মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের মোরসালিন মুন এবং অজ্ঞাত নামা কয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। সে সময় সাদের বান্ধবী আনিকা আশরাফি বাধা দিলে সাদের মাথায় প্রচণ্ডভাবে জখম এবং আনিকার হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় তার মাক্স খুলে নিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়। এর আগে বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে ভুক্তভোগী সাদকে ফলো করা শুরু করেন সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকাল ৪টার বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আশিক ইকবাল সাদ ও আনিকা আশরাফির উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী ও মার্কেটিং বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের মোরসালিন মুন। এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী।