নববধূর সাজে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সরকারি বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। একুশ শতকের উপযোগী বিশ্বমানের গ্রাজুয়েট ও দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির ভিশন নিয়ে এগিয়ে চলেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। প্রতিবছর এই দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দিবসটি জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে উদযাপন করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
৪০তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে পুরো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সেজেছে নববধূর মায়াময় সাজে। পাল্টে গেছে ক্যাম্পাসের পুরনো চিত্র। প্রধান ফটক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভবন নতুন রঙের ছোঁয়ায় রঙিন হয়ে উঠেছে। ক্যাম্পাসের প্রধান-প্রধান সড়কে আঁকা হয়েছে রং বেরংয়ের আলপনা। পরিষ্কার করা হয়েছে ক্যাম্পাসের প্রত্যেকটি জায়গা।
ক্যাম্পাসকে আকর্ষণীয় করে তুলতে শিক্ষার্থীদের আড্ডার কেন্দ্রস্থল ডায়না চত্বরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। সাজানো হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যাল ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘মুক্তবাংলা’, স্মৃতিসৌধ, সততা ফোয়ারা এবং শহীদ মিনারকে। এ উপলক্ষে সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর, আকর্ষণীয় সময় হচ্ছে রাতের ক্যাম্পাস।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে পুরো ক্যাম্পাস মিটিমিটি রঙিন আলোয় আলোকিত হয়ে উঠছে। প্রধান ফটক, আবাসিক হল, বিভিন্ন স্থাপনা এবং নানা চত্বর আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে বিশেষ আলোকবাতি। যা বহুদূর পর্যন্ত আলোর ঝলকানিতে ভরিয়ে তুলছে ১৭৫ একরের প্রতিটি প্রান্তর। রাতের আবছায়া অন্ধকার ও আলোকসজ্জা মিলে ক্যাম্পাস যেন নৈসর্গিক রূপ ধারণ করেছে।
ক্যাম্পাসে এখন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের আনাগোনা। ৪০তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস এখন সরব। চারিদিকে শুধু উৎসবের আমেজ।
এ বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তারিকুল ইসলামের সাথে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে তিনি তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেমে পড়ি ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমাকে উপভোগ্য করে তোলে। বিশেষ করে প্রতি বছর ২২ নভেম্বর এই দিনটি। এইদিনে প্রিয় ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় নববধূর সাজে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘৪০তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে উদযাপন করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’