‘বৈষম্যবিরোধী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ প্লাটফর্মের আত্মপ্রকাশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে ‘বৈষম্যবিরোধী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবা‘ নামের একটি অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছে।
রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে এই প্লাটফর্মের যাত্রা শুরু হয়।
বৈষম্যবিরোধী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার প্লাটফর্মটির আহ্বায়ক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক এবং সদস্য সচিব হিসেবে ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাছির আহমাদ দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেজবাহ-উল-আজম-সওদাগর।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছাড়াও কর্মকর্তা কর্মচারীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন। এসময় প্লাটফর্মটির সদস্য সচিব ড. নাছির আহমাদ বলেন, ‘৪৭' থেকে ‘২৪' এর সব কয়টি আন্দোলন হয়েছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে নন-পলিটিক্যাল ব্যানারে। বৈষম্যবিরোধী একটি ঐতিহাসিক শব্দ এজন্যই আমরা এ নামটি বাছাই করেছি। আর যারা বৈষম্য বিরোধী বাংলাদেশ গড়তে চায়, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যারা বাংলায় স্বৈরাচারী শাসনের বিরোধিতা করে তারাই হবে এর সদস্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিনির্মাণ বলতে আমরা বুঝাতে চাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু সমস্যা আছে, আছে সম্ভাবনাও। সমস্যা এবং সম্ভবনা এগুলোকে আমরা অ্যাড্রেস করতে চাই।’
এ বিষয়ে আহ্বায়ক ড. ইমরানুল হক বলেছেন, ‘কেউ যাতে আর সামনের দিনগুলোতে বৈষম্যের শিকার হয়েছি বলতে না পারে তা নিয়ে আমরা কাজ করবো। আপনারা সংস্কারের উদ্দেশ্য বাস্তবিক পরামর্শ দিন আমরা তা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করবো।’
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ বিষয়ক মতবিনিময় ও আলোচনা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন, নতুন ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।