স্বৈরাচার পতনে আনন্দভোজ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে
স্বৈরাচার পতন ও বাংলাদেশের নতুন বিজয় উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দভোজের আয়োজন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আয়োজনে মেয়েদের জন্য সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের নিচে ও ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু হলের নিচে খাবার নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর থেকে শুরু হয় খাবার বিতরণ। আনন্দভোজের খাবারে ভাত, গরুর মাংস এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য খাসির মাংস, মেজবান ডাল, কোল্ড ড্রিংকস ও পানি রাখা হয়।
এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১৩০ টাকার বিনিময়ে চলে অনলাইন ও অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। খাবারের স্বাদ ও মান ভালো হওয়ায় ইতিমধ্যেই প্রশংসায় ভাসছেন আয়োজকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন এমন আয়োজন অতীতে হয় নি।
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জাওয়াদ উদ্দিন বলেন, ‘স্বৈরাচারের পতন উপলক্ষে আনন্দভোজ খুবই সুন্দর আয়োজন ছিল। খাবারের মান ও পরিমাণ দুটোই খুব ভালো ছিল। বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভোজের আয়োজন করলেও তা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিয়ন্ত্রণ করতো এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হতো। তবে এবারের আয়োজনটা ব্যতিক্রম ছিল। ক্যাম্পাসের হোটেল, ক্যাফে, ডাইনিং এর খাবারের মান খুবই খারাপ। যে কারণে এরকম ভালো মানের খাবার পেয়ে আমরা আনন্দিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারের মান উন্নয়নের দিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিৎ।’
আরও পড়ুন: শেরপুরে আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত শতাধিক গ্রাম, পানিতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা ইসলাম ত্বসিন বলেন, ‘বিভিন্ন দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনগুলো থাকতো হলকেন্দ্রিক। আমরা যারা হলের বাইরে থাকি তাদের জন্য এটা ছিলো স্বপ্ন। শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনে আমরা অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দিত। খাবারের পরিমান ও স্বাদ খুবই ভালো ছিল। সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা।’
আয়োজক শিক্ষার্থীদের মধ্যে কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি আয়োজনটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কিছুটা সমস্যা তৈরী হলেও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা আমাদেরকে সাহস জুগিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম আমরা ভিন্ন এক আয়োজন করলাম। যারা ভলেন্টিয়ার হিসেবে দিনরাত পরিশ্রম করেছে, যারা অংশ নিয়েছে ও আর্থিক সাহায্য করেছে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’