প্রথমবারের মতো ঢাকা কলেজের হলে প্রদর্শনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত
প্রথমবারের মতো ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটির উদ্যোগে ছাত্রাবাসে প্রদর্শনী বিতর্কের আয়োজন করা হয়েছে। ‘এই সংসদ সাত কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে’ প্রস্তাবের উপরে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রদর্শনী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত ১১ ঘটিকায় ঢাকা কলেজ উত্তর ছাত্রাবাসে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
বিতর্কে সরকারি দল হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহমান সহ আব্দুল্লাহ ফয়সাল, আজিজুর রহমান পাভেল। অন্যদিকে বিরোধী দল হিসেবে বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন সহ আবু বকর সাঈম, মাহমুদুল হাসান অর্নব।
বিতর্কে সরকারি দল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞানের চর্চা ও উৎপত্তি হয়, সাত কলেজে কখনো জ্ঞানের চর্চা পর্যন্ত হয়নি। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এজন্য শিক্ষার বিভিন্ন অধিকার পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত থেকে সাইন্সল্যাব রাস্তা বন্ধ করে দাবি আদায় করতে হয়েছে। সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আত্মমর্যাদা পাবে, আত্মপরিচয় পাবে।
বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে। উচ্চশিক্ষার জন্য সুযোগ নেই। সিস্টেম কাঠামোতে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা সহ সকল সুযোগ সুবিধা পাবে। সুযোগ দিলে দেশের বিভিন্ন জেলার বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মেধা ও যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারবে। বর্তমান কাঠামোতে সেই সুযোগ নেই উল্লেখ করে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন সরকারি দলের বিতার্কিকরা।
বিতর্কে বিরোধী দল স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় নয় কলেজিয়েট বিশ্ববিদ্যালয় সাত কলেজ সমস্যার সমাধানের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এসময় বিরোধী দল বলেন, সাত কলেজ স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোতে নেই। বিশ্ববিদ্যালয় হলে বর্তমান শিক্ষকরা অনিশ্চয়তায় মধ্য পড়বে। সাত কলেজের প্রতিটি কলেজের ঐতিহ্যের আছে, বিশ্ববিদ্যালয় হলে ঐতিহ্য বিলীন হয়ে যাবে। বর্তমান কাঠামো থেকে নতুন কাঠামোতে গেলে সময়ের প্রয়োজন হবে, শিক্ষার্থীদের সেশন জট সৃষ্টি হবে।
ঢাকা কলেজের হলে বিতর্কের বিষয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন রাকিব বলেন, আমাদের উত্তর ছাত্রাবাসের বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকলেও এর আগে ঢাকা কলেজে এ কালচার ছিল না। ঢাকা কলেজ ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান, আশা করি সামনে এ ধরনের বিতর্ক আরও হবে। আজকের প্রথম হলে বিতর্কের এ যাত্রা শুরু হলো। এটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। আশা করি এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি হলে হলে এ ধরনের আয়োজন হবে। আশা করি হলগুলো নিপীড়ন, হয়রানিমুক্ত থাকবে। সব ক্লাব এবং সামাজিক সংগঠন তাদের কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হল লাইফ উপভোগ্য হবে।