আন্দোলনে হামলাকারীদের শনাক্তকরণে বেরোবিতে গণশুনানির আয়োজন
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের(বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এ ঘটনায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী চিহ্নিতকরণ এবং শাস্তির ধরণ নির্ধারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট রুমে গণশুনানির আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (১অক্টোবর ২০২৪) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সিন্ডিকেট রুমে দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত গণশুনানির আয়োজন করা হয়। আন্দোলনে হামলাকারীদের শনাক্তকরণে এতে সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
এরআগে, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তকরণের জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটিতে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান আহবায়ক, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আমির শরীফ সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ ফেরদৌস রহমান সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই তদন্ত কমিটিকে তথ্য প্রদানের জন্য সাত দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
৭ দিন পেরিয়ে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট রুমে গণ শুনানির আয়োজন করা হয়।
তথ্য প্রদান করতে এসে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের যাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে এবং কোন ভিডিও ফুটেজ আছে সেই গুলো আমরা যদি আগামীকালের মধ্যে প্রদান করি এবং যাদের কাছে প্রমাণ আছে কারো বিরুদ্ধে সেই তথ্য গুলো প্রদান করলে আমাদের আইনের সাহায্য নেওয়া সহজ হবে এবং খুব দ্রুত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: ইবির নতুন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ড. মোঃ ফেরদৌস রহমান বলেন, আমরা খুব দ্রুত একটি প্রতিবেদন জমাদিবো এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ইতোমধ্য আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি আমরা। আপনারা তথ্য প্রমাণ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করবেন।
উল্লেখ্য, এই গণশুনানি ১ থেকে ২ অক্টোবর দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলবে। এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো ব্যক্তি কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলাকারীদের শনাক্তকরণের সাক্ষ্যদান করতে পারবেন।