ইবির ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দায়িত্বে নতুন সভাপতি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আইন অনুষদভুক্ত ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নতুন সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় বিভাগীয় সভাপতির কক্ষে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনামের কাছ থেকে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিভাগের সাবেক সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহেদ আহমেদ, মো: হুমায়ুন কবীর, ড. মো: আরিফুল ইসলাম, বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার এনামুল হক ছাড়াও বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। এসময় প্রতিটি ব্যাচ নতুন সভাপতিকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
নবনিযুক্ত সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগটি আমাদের পরিবার। এখানে সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আগামীর পথচলা শুরু, তাদের নিয়েই বিভাগকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব। পূর্ব থেকে আরও সামনে কীভাবে নিতে হয় সেদিকে নজর থাকবে। আমার কাজের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে আসলে আমি কতটুকু চেষ্টা করতেছি। সর্বোপরি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
বিদায়ী সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতার আশা বলেন, প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি থেকে শুরু করে কেউ পূর্ণ দায়িত্ব পালন করার সুযোগ না পেলেও আমার মাধ্যমে সফলভাবে দায়িত্ব শেষ করার পথ শুরু। আমি এইটুকুই প্রত্যাশা রাখব যে আমার সহকর্মী মেহেদী হাসান সেই দায়িত্ব সফলভাবে পূর্ণ করবে। বিভাগকে নিয়ে ভাববে, সবার সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রাখবে, এই আশা ব্যক্ত করে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাচ্ছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম বলেন, আইন অনুষদ একটি পরিবার। এই অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নব-নিযুক্ত সভাপতি শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে এবং সবার সহযোগিতায় বিভাগকে সমুন্নত রাখবেন এটাই প্রত্যাশা। আমি ডিন হিসেবে বলবো, সবার জন্য আমার অফিস উন্মুক্ত। সব সময় যেকোনো পরামর্শ, অভিযোগ কিংবা পর্যালোচনা সরাসরি বলা যাবে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা সংকটময় মুহূর্ত পার করছি। ডিন হিসেবে আমি কষ্ট পাচ্ছি যে সীমাবদ্ধতার কারণে তোমাদের পরীক্ষা নিতে পারছি না। সেশনজট মুক্ত হোক সেই দিকে আপাতত নজর দিচ্ছি। তোমরা যারা ১ম ও ২য় বর্ষে আছো, তারা ৩য় বর্ষের আগেই অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা শেষ করে ফেলো, ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে চাকরির পড়াশোনায় মনোযোগী হও। তাহলে বিভাগ কিংবা অনুষদ সাফল্যের শিখরে দেখতে পারবো।