সমালোচনাকারীদের জবাব দিলেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায়
সদরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকালে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট ও সরকারি বিভিন্ন দিবসে তার অংশগ্রহণ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সামনে আসে। এরপরে থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (সরকারি কলেজ-২) এক প্রজ্ঞাপনে রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন করা হয় অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়কে। তিনি পূর্বে ফরিদপুরের সদরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবার সমালোচনাকারীদের সেসব প্রশ্নের জবাব দিলেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়। সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতিকে দেওয়া তার এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ''অবুঝ শিশু তো বাপকেও লাথি মারে তাতে কি বাপের কিছু আইসে যায়!'' শিক্ষকের কোন ধর্ম নেই, শিক্ষকের লিঙ্গ নেই। শিক্ষকের কোন দেশ নেই, শিক্ষক সবার।
চাণক্য শ্লোক টেনে এনে তিনি বলেন, ''বিদ্বতঞ্চ, নৃপতঞ্চ নৈব তুল্য কদাচন, স্বদেশে পূজ্যতে রাজা বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতে।'' অর্থাৎ একজন রাজা ও একজন শিক্ষকের কখনোই তুলনা হয় না। কেননা রাজা শুধুমাত্র স্বদেশে সম্মান প্রাপ্ত হন। অপরদিকে একজন শিক্ষক বা একজন বিদ্বান ব্যক্তি পৃথিবীর সর্বত্র সম্মানিত হন।
পরিশেষে তিনি বলেন, শিক্ষকের কোনোভাবেই ক্লাসিফিকেশন করা যাবে না। শিক্ষক শিক্ষকই। শিক্ষকদের ব্যক্তি হিসেবে নয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখার আহ্বান জানান তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রজ্ঞাপনের পর ১১ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়।