১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭

সরকার পতনের চল্লিশা উপলক্ষ্যে ইবির শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের নৈশভোজ

সরকার পতনের চল্লিশা উপলক্ষ্যে ইবির শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের নৈশভোজ

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। তিনি পালিয়ে গিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন। এই হাসিনা সরকারের পতনের চল্লিশা দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে নৈশভোজ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৮ সেপ্টম্বর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হলের ছাদে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে হলের প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আলী আরমান রকি বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের ৪০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা মিলে প্রীতিভোজের আয়োজন করেছিলাম। প্রতিকীরূপে এটি চল্লিশার আয়োজন হলেও এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিলো হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি,  ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য ও পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটানো।

পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোর উদ্যোগ গ্রহণ যেমন আন্ত:ফ্লোর খেলাধুলা, বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান চর্চা ও প্রতিভার বিকাশ ঘটবে এমন নিয়মিত আয়োজন করার জন্য মতামত পেশ করা হয়েছে। হলের রিডিং রুম, ডিবেট রুম, গেম রুমের জন্য নতুন রমের ব্যবস্থা করা, মসজিদের মাইক স্থাপন, মাদক নির্মুল, বৈষম্যহীনভাবে যৌক্তিকভাবে হলের সিট বন্টন ও সিনিয়র- জুনিয়র সম্পর্ক বৃদ্ধির ব্যাপারে জোরালো আলোচনা হয়েছে৷’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বকনিষ্ঠ হল হলেও শেখ রাসেল হলের যে সাফল্য ফুটবল, ক্রিকেট ও ডিবেটে টানা ২ বার করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যে গৌরব বর্তমান শিক্ষার্থীদের হাত ধরে এসেছে তা অনাগত জুনিয়ররা ধরে রাখবে। সর্বপরি সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকার মধ্যে দিয়ে হলের সকল সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শেখ রাসেল হল  বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও মডেল আবাসিক হল হিসেবে অধিষ্ঠিত হবে সেই প্রত্যাশা রাখছি।’

শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমরা এটি স্বৈরাচারেরর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ঘৃণা ছড়িয়ে দিতে আয়োজন। যাতে ভবিষ্যতে দেশে কখনো স্বৈরাচারের জন্ম না হয়। ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের সর্বস্তরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক। মানুষ তার নিজ অধিকার ভোগ করে সুখে শান্তিতে বসবাস করুক।’

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগেও 'খুনি হাসিনার চল্লিশা' ভোজ আয়োজিত হয়। এতে বিভাগটির সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।