ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ নিয়ে যা জানা যাচ্ছে
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম— এমন একটি প্রজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম ওই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই প্রজ্ঞাপনটির বিষয়ে পরবর্তীতে খোঁজ নেওয়া হয় মন্ত্রণালয়ে। জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, দেখতে হুবহু আসল প্রজ্ঞাপনের মতো। তবে এরকম প্রজ্ঞাপনে আমি স্বাক্ষর করিনি। তাছাড়া এই প্রজ্ঞাপনে কয়েকটি জায়গায় ভুলও রয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আলমকে আগামী ৪ বছরের জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ নিয়ে আজ-আগামীকালকের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র বলছে, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আলমকে নিয়োগ না দিতে ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। তিনি যাতে সেখানে উপাচার্য হিসেবে না আসতে পারে সেজন্য ভুয়া প্রজ্ঞাপনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিএনপিপন্থি এক অধ্যাপকও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে লবিং-তদবির করছেন। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম যাতে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ না পেতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে তিনি ষড়যন্ত্র করছেন বলে সূত্রটি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রটি আরও বলছে, জবির সাবেক দুই ছাত্র বর্তমানে তারা ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার ও কম্পিউটার অপারেটরে কর্মরত রয়েছে, তারাই প্রথমে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুয়া এই প্রজ্ঞাপনটি ছড়িয়েছে। এরপর আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছে।
জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এখন দেশে বৈষম্য বলে কিছু থাকবে না এবং সহজে কেউ অন্যায় কাজ করে পার পেয়ে যেতে পারবে না। আমি শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয়টির কিছু অসাধু কর্মকর্তা আমাকে নিয়োগ না দিতে ষড়যন্ত্র করেছে। ইনশাআল্লাহ, কেউ ষড়যন্ত্র করে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারবে না।