১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৫৭

আইডিয়াল কলেজের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে গেছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা

আইডিয়াল কলেজের সাইনবোর্ড নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

রাজধানীর ঢাকা কলেজ ও সেন্ট্রাল আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আইডিয়াল কলেজের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সায়েন্সল্যাব মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রাজধানীর গ্রিন রোডে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের পাভেল নামের এক শিক্ষার্থীকে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করে এবং অন্য এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আইডিয়াল কলেজের চারশত শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজের গেইটে হামলা করে। 

এসময় ঢাকা কলেজের অনার্সের কিছু শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষ করে আইডিয়াল কলেজের দিকে শিক্ষার্থীদের যেতে বলে। তখন কলেজ অডিটোরিয়ামের সামনে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে নবীনবরণ আয়োজনকারী দুইজন শিক্ষার্থী আহত হয়। 

এরপর দুপুর ২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা গ্রিন রোডে আসলে সেখানে অবস্থানরত আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় পুলিশের বিরাট সংখ্যক সদস্য উপস্থিত থাকলেও উভয় পক্ষকে শান্ত বিরত থাকে। একপর্যায়ে মেজর তাজবিদের নেতৃত্ব সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে। দুপুর ৩টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এলে উভয় কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্যাম্পাসে ফিরে যায়।

পরে দুপুরে ধানমন্ডি-৩ সংলগ্ন মিরপুর রোডে চলন্ত বাস থামিয়ে  ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করে এবং কলেজ ড্রেস ছিনিয়ে নেয় আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সায়েন্স ল্যাবে অবস্থান নিয়ে উক্ত অবস্থা রোধ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। 

সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে রমনা জোনের এডিসি নাছের উদ্দীন বলেন, ঘটনা কেন ঘটেছে আমরা এখনো জানতে পারিনি।তবে আমরা যখন এসেছি তখন ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। পুলিশ ছিল, পুলিশের সাথে সেনাবাহিনীও যোগ দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি, উভয়পক্ষকে আমরা বুঝিয়ে নিজ নিজ কলেজে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা শিক্ষকদের সাথে কথা বলবো এবং দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা বসবো যেন এরকম ঘটনার আর না ঘটে সেটার স্থায়ী একটা পদক্ষেপ করে একটা সুন্দর সমাধানে যেতে পারবো।