বাউবির ২ শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) আইন বিভাগের ২ শিক্ষকের অব্যাহতি ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানব বন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় বাউবির গাজীপুর মূল ক্যাম্পাসে থেকে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষক দু’জন হলেন অধ্যাপক নাহিদ ফেরদৌসী ও সহকারী অধ্যাপক বায়েজিদ হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতি, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে দুর্নীতি, ২০০৫ সালে চালু হওয়া ‘স্কুল অব ল’ স্থগিত করণ এবং এখন পর্যন্ত আটকে রাখা, কর্তব্যে অবহেলা ও ছাত্রদের নিপীড়নসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
বিক্ষোভে তারা নাহিদ-বায়েজিদ সিন্ডিকেট ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, ২ মাফিয়ার সিন্ডিকেট ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, দুর্নীতি বাজদের ঠিকানা বাউবিতে হবে না, সনদ জালিয়াতির দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান, স্কুল অব ল' স্থগিত কেন জবাব চাই জবাব দাও, চলছে লড়াই চলবে আইন বিভাগ লড়বেসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
আইন প্রোগ্রামের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহসান ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন যে, বাউবিতে ২০০৫ সালে 'স্কুল অব ল’ চালু করা হয়। অথচ অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, পরবর্তীতে 'স্কুল অব ল' স্থগিত করে সামাজিক বিজ্ঞান মানবিক ও ভাষা স্কুলের অধীনে দেওয়া হয়। ‘স্কুল অব ল’ আটকে রাখার অন্যতম মাস্টার মাইন্ড হচ্ছে শিক্ষক নামের কলঙ্ক ২ জন মাফিয়া নাহিদ ফেরদৌসী ও বায়েজিদ হোসেন। তারা অত্যন্ত ধূর্ততা ও কৌশলের সঙ্গে 'স্কুল অব ল' আটকে রেখেছে। এর মূল কারণ তারা বাউবিতে পর্যাপ্ত সময় দেন না। সপ্তাহে মাত্র ১ দিন তারা ক্যাম্পাসে আসেন। আমরা আজকে থেকেই এই দুজনকে আইন প্রোগ্রামের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য দৃঢ় ঘোষণা দিচ্ছি।
আরেক শিক্ষার্থী মনদিয়া তালুকদার বলেন যে, এই ২ জন শিক্ষক নামের কলঙ্ক। তারা সব সময় আমাদেরকে ভয়-ভীতি, হুমকি-ধামকির উপর রাখতো। কেউ কোনো অন্যায়-অনিয়মের প্রতিবাদ করলেই তার রোল নাম্বার নেওয়া হতো। তাদের জুলুম-নির্যাতন থেকে আমরা মুক্তি চাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ভাবে একটা তদন্ত করে তাদের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত এবং স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হোক