০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৮

অধ্যাপক ছাড়া চলা সরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন তোলা নিয়ে শঙ্কা

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

উপাচার্যের পদত্যাগের পর জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন অধ্যাপক না থাকায় প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব নিতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত কেউ। বেতন তুলতে পারছেন না শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখা ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিল, ক্ষেত্রমতে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সাথে আলোচনাক্রমে একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক দিয়ে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টসহ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা অনেকেই পদত্যাগ করেছেন। ক্লাস-পরীক্ষা চালু হলেও এক প্রকার অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে বদিউজ্জামান ফারুক

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার আহসান হাবিব ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি না থাকার কারণে রেজিস্ট্রার নিয়োগ হচ্ছে না যার কারণে আমাদের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বেতন আটকে থাকার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত ভিসির দায়িত্ব নেওয়ার মতো কেউ না থাকায় বিভিন্ন আর্থিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তাই আমরা দ্রুত ভিসি নিয়োগের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাই।

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক ড. আল মামুন সরকার বলেন, আমাদের সকল শিক্ষক কর্মকর্তারা বেতনের উপর নির্ভর করে থাকি সুতরাং বেতন আটকে থাকার কারণে আমাদের সকলেরই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। তাই আমরা দ্রুত একজন সৎ, যোগ্য, শিক্ষাবান্ধব এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ভিসি নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের হেলপার কামাল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ভিসি না থাকায় আমাদের বেতন আটকে আছে। আমাদের প্রতি মাসের ১ তারিখে বেতন পাই সেটা দিয়ে সারা মাসের পাওনা পরিশোধ করি। আজ ২ তারিখেও টাকা না পাওয়ার কারণে দোকান বাকি পরিশোধ করতে পারছি না। তারা নতুন করে বাকি দিতেও অনিচ্ছুক পেট তো বেতনের জন্য অপেক্ষা করবে না।

প্রসঙ্গত, বশেফমুবিপ্রবিতে কোনো সহযোগী অধ্যাপকও নেই। সংকট নিরসনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগের দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।