উপাচার্যহীন ইবিতে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফি
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম পদত্যাগ করেছেন। এরপর থেকে শূন্য রয়েছে উপাচার্য পদ। নতুন উপাচার্যের নিয়োগ না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিকখাতে সৃষ্টি হয় অচলাবস্থা। এ অবস্থা কাটাতে উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত ইবির অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনিক এবং আর্থিক বিষয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।
গতকাল রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে ডিনস্ কমিটির আহ্বায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমানের কার্যালয়ে ৮টি অনুষদের ডিন ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এছাড়াও, ডিনস কমিটির সভায় আরো ৪টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে, আগামী মঙ্গলবার থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু করা, অফলাইনে ক্লাস শুরু করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করা এবং মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া, চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের রেজাল্ট অতি দ্রুত প্রকাশ করতে ব্যবস্থা নেওয়া এবং স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত জনবল ও নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত আনসারদের বেতন-ভাতা ও মাসিক পেনশন রাজস্বখাত থেকে দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে ভবিষৎ তহবিল হতে বিধিমোতাবেক লোন মঞ্জুরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন : ৪৪ বছরে মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছেন ইবির মাত্র একজন উপাচার্য
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ড.আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, ডিনস কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা অনলাইন ও অফলাইনে ক্লাস শুরুর ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অফলাইনে ক্লাস শুরুর ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে আগানো হবে। এছাড়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে একজন অধ্যাপককে প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে বলা হয়। সে মোতাবেক আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ডিনদের সঙ্গে আলোচনা করেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : ৩ মাস পর ইবির ক্লাস শুরু মঙ্গলবার
এর আগে, গত ২৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারের অনুপস্থিতিতে জরুরি আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে দিয়ে সাময়িকভাবে পরিচালনার নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।