২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৪:৪০

ত্রাণ নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকায় ইবি শিক্ষার্থীরা

ত্রাণ নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকায় ইবি শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

ভারত থেকে আসা উজানের ঢলে দেশের কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। নানান সমস্যায় জর্জরিত এসব মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাড়িয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের মানুষের দ্বারে দ্বারে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে হাজির হচ্ছেন তারা। 

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা সমিতি ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রায় সপ্তাহব্যাপী বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ফান্ড কালেকশনের কাজ করেন। এরপর সব একত্র করে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা সমমূল্যের ত্রাণসামগ্রী নিয়ে দুটি বাস যোগে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

ইতোমধ্যে নোয়াখালীর টিম পাঁচগাঁও ইউনিয়নের আবুতোরাব নগর গ্রামে পৌঁছে সেখানে যারা ত্রাণ পায়নি এখনো তাদের খুঁজে বাড়ি বাড়ি যেয়ে ত্রাণসামগ্রী দিচ্ছেন তারা। এছাড়াও প্রায় ১০০০ প্যাকেট ত্রাণ নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে ক্যাম্পাসের স্টুডেন্টরা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সেখানে দেওয়া শেষ হলে বাকি অংশ নিয়ে তারা ফেনীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বলে জানিয়েছেন।

নোয়াখালী যাওয়া শিক্ষার্থী আসিফ বলেন, এখানে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না, স্থানীয় সবাই অনেক হেল্পফুল। তবে এখানের সবাই ত্রাণ চাচ্ছে কিন্তু আমাদের পক্ষে সবাইকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। আমরা বেছে বেছে যারা প্রকৃতপক্ষে যোগ্য এবং আগে একবারও ত্রাণ পায়নি তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখানে আমরা ৫০ টা পরিবারকে দেওয়ার জন্য ত্রাণ নিয়ে এসেছি। টিমের বাকীরা অন্যান্য পয়েন্টে দিচ্ছেন। মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

লক্ষ্মীপুর টিমের ইয়াহিয়া বলেন, রাস্তায় জ্যামের কারণে আমাদের আসতে একটু দেরি হয়ে যায়। গতকাল রাতে বিশ্রাম করে আজকে টোটাল ত্রাণ ৩ ভাগে ভাগ করে একভাগ ক্যাম্পাসের বাসে রেখে বাকি দুইভাগ স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা ৩টি স্পটে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করি। এখানে প্রায় বুক সমান পানি রয়েছে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবী ভাইয়েরা সাঁতার কেটে মানুষের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। বন্যার্ত মানুষের যে হাহাকার, তা বলে বোঝানো যাবে না।