২৮ আগস্ট ২০২৪, ২১:১৩

জবি ক্যাম্পাসে তোপের মুখে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা, ক্লাস-পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা

বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা  © টিডিসি ফটো

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি দেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন। তাকে বিভাগ থেকে বহিষ্কার ও দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করার দাবি জানান তাঁরা। পরে তাকে সকল প্রকার ক্লাস-পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে নিষেধাজ্ঞা দেয় বিভাগ। 

আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল নয়টায়  শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আশরাফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। ছাত্রলীগের এই নেতা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবির-উজ-জামান। তিনি বর্তমানে ঢাকা জেলা উত্তর শাখা ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদকের পদে আছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিএসএস ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ৪র্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আবীর-উজ-জামান, (আইডি নং বি-১৯০৪০৬০০২) কে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হলো।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে আট টায় নিজ বাইক চালিয়ে ক্যাম্পাসে যায় আবির।  পরে তিনি ক্লাসে বসেন সহপাঠীদের সঙ্গে। এরই মধ্যে জানতে পেরে বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগের চেয়ারম্যানের রুমের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের দাবি জানান।  

বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে শুরু থেকেই তিনি ছাত্রদের বিরোধিতা করেছেন। গত ১৫ জুলাইতে প্রথম যেদিন ঢাবিতে ছাত্রীরা গিয়েছিল, সেদিন তাঁদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এছাড়া হাসিনা সরকারের পতনের দুদিন আগেও তিনি তাঁর অস্তিত্বের টিকিয়ে রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল ফেসবুক স্ট্যাটাসে। এতো উগ্র কথা বলতে পারে আবীর- এ নিয়ে ঝড় উঠেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুজাহিদ বাপ্পি বলেন, আমাদের শত শত ভাইয়ের জীবন, চোখ দিতে হয়েছে যাদের জন্য তাদের আমরা বয়কট করেছি। আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকেও তাকে বয়কট করা হয়েছে। আমাদের দাবি তাকে বহিষ্কার করা হোক। এর আগে গত ২৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় আবিরসহ ৬ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশবিদ্যালয় প্রশাসন।