বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে চেয়ে ইবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অভ্যন্তরীণ কোন শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে চেয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নকিব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ইবির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, এমন গুজবের প্রেক্ষিতে তারা এই কর্মসূচিতে নেমেছেন।
রবিবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইবির প্রধান ফটকে গিয়ে মানববন্ধনে সমবেত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারাও এসময় মানববন্ধনে যোগ দেয়৷
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে আমার ক্যাম্পাস, আমার ভিসি; দুর্দিনে ছিলেন যারা, ইবির ভিসি হবেন তারা; আওয়ামী লীগের এজেন্ট কাউকে, ভিসি হিসেবে চাই না; সংকটে ছিলেনা, ভিসি হতে এসো না; বসন্তের কোকিলেরা সাবধান, নিশ্চুপ বিড়ালেরা, ভিসি হতে এসো না; খুনি হাসিনার সুবিধাভোগী কাউকে ভিসি হিসেবে দেখতে চাইনা সহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
এ সময় লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিন শর্মা বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ভিসি চাই। কারণ পূর্ববর্তী ভিসি আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমরা কোনো নিরাপত্তা পাইনি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ভিসি নিয়োগ দেওয়া হউক, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে অবগত এবং নিরাপত্তা দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ বলেন, যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কোন শিক্ষককে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় আমরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশটাই প্রথম বিষয়। আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব ভিসি চাই যেন শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পরিবেশ পায়, ক্যাম্পাস দুর্নীতিমুক্ত হয় এবং আমরা যেন তাদের প্রশাসনিক সহযোগিতা করতে পারি। বাইরের কেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অবস্থা সেভাবে বুঝবে না যতটা অভ্যন্তরীণ কেউ বুঝবে।
আরেক কর্মকর্তা খন্দকার আব্দুল মুজিব বলেন, স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় এটি। বাইরে থেকে শিক্ষার্থী বান্ধব ভিসি খুব কমই এসেছে। বাইরে থেকে যারা ভাইস চ্যান্সেলর হয়ে আসেন তাদের উদ্দেশ্য থাকে টাইম পাস করা এবং তারা এটিকে ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে দেখে। পূর্বে তারা কখনো সৎ ভাবে দায়িত্ব পালন করেনি।