জবিতে রেজিস্ট্রার পদে এখতিয়ার বহির্ভূত নিয়োগ, শুরুতেই অভিযোগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় জাহিদ আলমকে। রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরীর নির্দেশে গতকাল বুধবার এই আদেশ জারি করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিনেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার জাহিদ আলমের নামে নানান অভিযোগ আসতে থাকে।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক সমন্বয়কদের একজন ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিবেদককে জানান, গতকাল ইকরামুল সাজিদের জানাজার নামাজের পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমন্বয়ককে মিষ্টি খেতে ১০ হাজার টাকা হাতে দেন। পরবর্তীতে ওই সমন্বয়ক সেই টাকা নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও জানান, সমন্বয়কদের মধ্যে থাকা দুইজন সব সমন্বয়কদের নাম করে ট্রেজারার এর মাধ্যমে জোরপূর্বক রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়ায়।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপের অভিযোগ কোষাধ্যক্ষ ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী রুটিন দায়িত্বে উপাচার্য হিসেবে আছেন। রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য হিসেবে তিনি রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার নেই। তিনি কোন ক্ষমতা বলে এই নিয়োগ দেন সেটা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেন অনেকে।
সমন্বয়কদের একটা অংশ মনে করেন, রেজিস্ট্রার প্রথম দিনেই যেভাবে আমাদের মিষ্টি খাওয়ার জন্য এত টাকা দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন নিজে থেকেই তাহলে তার নিয়োগও টাকার লেনদেনের মাধ্যমে হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
টাকার প্রস্তাব পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টির এক সমন্বয়ককে বলেন, আমি নতুন নিয়োগ পাওয়া রেজিস্ট্রারকে চিনতামই না। হঠাৎ করে তিনি কিছু টাকা নিয়ে এসে বলেন এটা দিয়ে তোমরা নাস্তা, মিষ্টি খেয়ো। আমি অবাক হয়ে যাই তিনি কেন এমনটা করলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জাহিদ আলম বলেন, আসলে আমি মিষ্টি খেতে টাকা দিতে চাইনি। আমি তাদের খোঁজ নিচ্ছিলাম আর জিজ্ঞেস করেছিলাম তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। সাজিদের বাড়িতে যেতে কোনো হেল্প লাগবে কিনা। তাদের আমি খোঁজ নিয়েছি শুধু। টাকা দেওয়ার ব্যাপারটা কীভাবে আসলো আমার জানা নেই।