সাত কলেজের অধ্যক্ষদের পদত্যাগ নিয়ে ধোঁয়াশা, প্রশাসনিক কার্যক্রমে জটিলতা
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের বেশির ভাগ অধ্যক্ষরা পদত্যাগ করেছেন। তাদের কেউ কেউ শিক্ষার্থীদের সামনেই পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। তবে এ প্রক্রিয়ায় তাদের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে কী-না তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ অধ্যক্ষরা পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওই সরকারি কলেজগুলোর অধ্যক্ষ পদে এখনো কাউকে পদায়ন করা হয়নি। যা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনিক কার্যক্রম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, অধ্যক্ষরা ছাত্রলীগের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। এর ফলে কলেজের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ ও কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও আন্দোলনে নামেন।
সেসময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে চাপের মুখে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন ঢাকা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, শহীদ সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ। এছাড়াও বয়সপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অবসরে গেছেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ। অন্যদিকে, ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এখনও পদত্যাগ করেননি।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষ
তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে চাপের মুখে পদত্যাগ করা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। এ বিষয়ে শহীদ সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবিগুলো নিয়ে মিটিং করেছেন। অধ্যক্ষ এখনো চলে যায়নি। তিনি ছুটিতে আছেন। তিনি পদত্যাগ করলেও হবে না। মন্ত্রণালয় থেকে পদটি খালি করে তারপর নতুন কাউকে নিয়োগ দিতে হবে।
ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. আব্দুল কুদ্দুস শিকদার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কলেজ প্রশাসন বলতে মূলত অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষেদের বুঝোনো হয়। তারা যেহেতু পদত্যাগ করেছে এজন্য কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসার, তাদের সমস্যা, চাওয়া, প্রত্যাশা, সমস্যাগুলো আমরা শুনছি। সরকারি কলেজ হওয়ায় এখানে চেইন অব কমান্ড আছে, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, একাডেমিক কাউন্সিল এভাবে কাজ হয়। নতুন সরকার এসেছে, সবকিছু পরিবর্তন হয়েছে। সরকারের উপর থেকে নিচে পর্যন্ত তাদের কাজ শুরু করতে গুছিয়ে উঠতে একটু সময় লাগবে। সে পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।