১৩ আগস্ট ২০২৪, ২২:৫১

সৌমিত্র শেখরের পদত্যাগের দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার আন্দোলন

  © টিডিসি ফটো

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের পদত্যাগের দাবিতে টানা আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী। এবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এরপর প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্য বাংলোর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় কলা অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. এএইচএম কামাল, সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আহমেদ শাকিল হাসমীও উপস্থিত ছিলেন। 

এসময় উপাচার্য ছাড়াও উপাচার্যের একান্ত অনুগত হিসেবে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবির, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী জোবায়ের হোসেন এবং পরিবহণ প্রশাসক ড. মো. আরিফুর রহমানের পদত্যাগের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দলীয় রাজনীতি আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ এবং পরবর্তীতে দলীয় রাজনীতির অপচেষ্টা করলে শাস্তির বিধানের দাবি জানায় আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি গত ৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চার প্রশাসনিক পদে রদবদলকে প্রহসন আখ্যা দিয়ে অফিস আদেশ বাতিল করে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনাপূর্বক নিয়োগের দাবি জানায় আন্দোলনকারীরা। অনতিবিলম্বে এসব দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম এবং এ আন্দোলনে আমরা জয় লাভ করেছি। এখন এ ক্যাম্পাসকে আমাদের বৈষম্যমুক্ত করতে হবে। সবাই জানে উপাচার্য কিভাবে আন্দোলনে বাধা দিয়েছে। উপাচার্য সকল বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে মিটিং করেছে এবং নির্দেশ দিয়েছে কোনো শিক্ষক যাতে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে না পারে এবং এমন কোনো পোস্ট যাতে না দেয় যাতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে উৎসাহিত হতে পারে। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ঐশ্বর্য সরকার বলেন, আমরা ক্যাম্পাস সংস্কারের আন্দোলনে নেমেছি৷ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম। আমরা ইতোমধ্যে ৩ দফা দাবি ঘোষণা করেছি। আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নিলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।