শিক্ষার্থীদের এখন পড়ার টেবিলে ফিরে আসা জরুরি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি
শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। বুধবার (২৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের যে প্রধান দাবি- তা আদালতের রায় এবং পরবর্তীতে সরকারের নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই পূরণ হয়েছে। আপিল বিভাগের রায়ের পর সে অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে।
এ সময় উপাচার্য আপিল বিভাগের রায় ও সরকারের দ্রুত উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
এখন যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের জন্য টেবিলে ফিরে আসা জরুরি বলে উল্লেখ করে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা ই-জার্নাল, ই-বুক, ই-রিসোর্স একসেস নিশ্চিতের মাধ্যমে নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারবে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার উপকরণ পেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ছাত্রদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যগত যে কৃষ্টি-সংস্কৃতি আছে, সেটি চর্চার মাধ্যমে ক্যাম্পাসগুলোতে সকলের অবস্থান নিশ্চিত করা প্রয়োজন- যাতে শিক্ষাক্ষেত্রে শিগগিরই একটি অনুকূল পরিবেশ ফিরে আসে। এ লক্ষ্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, রাজনীতিক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে বলে উপাচার্য তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।
উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে যদি কোনো দূরত্ব তৈরি হয়ে থাকে, সেটি নিরসনে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সম্প্রীতিমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করে পরিস্থিতি সমাধান করা উচিত।
আজকের শিক্ষার্থীরাই যে আগামী দিনে দেশে নেতৃত্ব প্রদান করবে সে বিষয়টি উল্লেখ করে- উপাচার্য জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সমাজ গঠনমূলক, শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক আচরণ প্রত্যাশা করে।
উপাচার্য গত কয়েকদিনে সংঘটিত ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি এই সময়ে যেসব স্থাপনা, উন্নয়ন প্রকল্প ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস ও নষ্ট করা হয়েছে- তা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথার্থ অনুসন্ধান করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. মশিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অগ্রসরমাণ উন্নয়নের মূল ভিত্তি মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বীর সন্তানদের আত্মাহুতি। এই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা আমাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিকাশকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবো।