চবির ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তায় থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাতশ সদস্য
কাল থেকে শুরু হওয়া ২০১৮-১৯ শিক্ষার্বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন। এজন্য রাখা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাতশ সদস্য; যারা প্রশ্ন ফাঁস, র্যাগিংসহ নানা ইস্যুতে কাজ করবে। শুক্রবার জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে চবি প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ বছর দুই শিফটে পরীক্ষা হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিগত বছরগুলোর চেয়ে অনেক গুণ বেশি। এক্ষেত্রে সাতশ’র বেশি পুলিশ, এনএসআই, ডিজিএফআই, গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, রেলওয়ে পুলিশ এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবস্থা থাকবে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে।
প্রক্টর বলেন, নিরাপত্তার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরনের র্যাগিং ইস্যুতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সতর্ক থাকা হবে প্রশ্ন ফাঁস কিংবা জালিয়াতির ব্যাপারেও। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ পাওয়া গেলে তার ছাত্রত্ব পর্যন্ত বাতিল করা হবে।
জানা যায়, এ বছর মানবিক কারণে পরীক্ষার্থীদের হলে থাকার ব্যবস্থা করলেও কোন অভিভাবককে হলে অবস্থান করার অনুমতি দেয়া হয়নি। এছাড়া ছাত্র সংগঠনগুলোকেও হেল্পডেক্স কিংবা ব্যানার লাগানো থেকে নিষেধ করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি হেল্প ডেস্ক থাকবে বলে জানান প্রক্টর।
অন্যদিকে যানবাহনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট দিয়ে প্রবেশ করে জিরো পয়েন্ট থেকে হাতের ডান দিকের রাস্তা দিয়ে সেন্টার ফিল্ডে গিয়ে পার্কিং করবে। পরীক্ষা শেষে সেন্টার ফিল্ড থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট দিয়ে গাড়ি বের করতে হবে। সেক্ষেত্রে এক নম্বর গেইট দিয়ে পুনরায় বের হওয়ার সুযোগ থাকছে না। এছাড়া প্রথম শিফটে শিক্ষকদের বাসগুলো সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে; যা দেড়টার আগে বের হতে পারবে না। এরপর একইভাবে দ্বিতীয় শিফটের কার্যক্রম শুরু হবে।