২৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:০৮

বেরোবিতে সাংবাদিক সমিতির চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

বিভিন্ন সমস্যা আর সম্ভাবনার মধ্য দিয়ে চতুর্থ বছর অতিক্রম করে পঞ্চম বছরে পদার্পণ করল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বেরোবিসাস)। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ক্যাম্পাসে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা সদস্য, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বেরোবিসাসের সদস্যবৃন্দ।

শুক্রবার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি উপদেষ্টা সদস্য গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ ও সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদের উপস্থিতিতে শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মামুদ ভবনের বাংলা বিভাগের গ্যালারী রুমে এসে কেক কেটে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির উত্তরোত্তর মঙ্গল ও সফলতা কামনা করেন উপাচার্য বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা পালন করে সাংবাদিকরা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ সাংবাদিকরা নিজের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে রক্ষা করে যাচ্ছে। আমি মনে করি যথাযথ তথ্যের মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশনে বেরোবিসাস অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।’

বেরোবিসাসের সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের আহমেদ এর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি শাকিবুর রহমান শাহীন, ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. নুর আলম সিদ্দীক, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান, দৈনিক সংবাদের রংপুর প্রধান লিয়াকত আলী বাদল ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ। বেরোবিসাস সভাপতি নূর ইসলাম সংগ্রামের সভাপতিত্বে সমাপনী বক্তব্য দেন সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা সদস্য ড. নজরুল ইসলাম।শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরেন বক্তারা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক সমিতির অবস্থান এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অবস্থান পর্যালোচনা করে বক্তারা বলেন, এখানে সাংবাদিকদেরকে কুক্ষিগত করে রাখা হচ্ছে। সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত বেরোবিসাসের সদস্যরা। প্রতিষ্ঠার চার বছর পার হলেও এখনো মাথা গুঁজানোর ঠাঁই পায়নি বেরোবিসাস।

বক্তারা আরো বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্রান্ডিং করতে সাংবাদিকদের কোন বিকল্প নেই। তাই সাংবাদিক সমিতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি তাদের অফিস কক্ষ বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় বেরোবিসাসের উপদেষ্টা সদস্য ড. নজরুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্যে সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ থেকে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার আহ্বান জানান। এসময় তিনি বেরোবিসাসকে কক্ষ দেওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি তপন কুমার রায় ও এইচ এম নুর আলম, সমিতির সহ-সভাপতি ফারুক আহম্মেদ, যুগ্ম সম্পাদক সৌম্য সরকার, দপ্তর সম্পাদক ইসমাঈল রিফাত, অর্থ সম্পাদক আল-আমিন হোসেন, প্রচার সম্পাদক ইভান চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য সাইফুল ইসলাম, রাব্বি হাসান সবুজসহ সমিতির অন্যান্য সাধারণ সদস্য এবং সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। এ সময় সাবেক তিন সভাপতিকে ফুল দিয়ে বরণ করে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ শে অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করেছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক ছিলেন শাকিবুর রহমান শাহিন, যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন তপন কুমার রায় ও সদস্য ছিলেন সাইফুল ইসলাম।