কোটা বাতিল আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধার নাতি ববি শিক্ষার্থী রিফাত
হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল এবং কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে সারাদেশে একযোগে চলছে কোটাবিরোধী আন্দোলন।
আন্দোলন চলাকালীন সময়ে খোদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অনেকেই তীব্র সমালোচনা করছেন এই কোটা পদ্ধতির,কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে তারা একতাবদ্ধ হয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে। এমনি একজন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রিফাত তালুকদার।
রিফাত তালুকদার জানান, কোনো জাতিকে যদি শেষ করতে চাও তাহলে তাদের শিক্ষা, মেধা বিনাশ কর। ১৯৭১ সালে শোষণ, বৈষম্য এর জন্য যুদ্ধ করেছিল আমাদের বাবা, দাদা,নানা। কিন্তু, ২০২৪ সালে এসে ও আবার শোষণ, বৈষম্য সেটা সরকারি চাকরিতে। কোটা পদ্ধতি ব্যবহার করে কোনো দিন ও জাতির উন্নতি সম্ভব না।
আমি ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি। আমার নানা বিডিআর এর হাবিলদার ছিল। সে তার জীবন দিয়ে জাতির কাছে আজ হিরো,আমার মা গর্ব করে বলতে পারে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি মনে করি একমাত্র প্রতিবন্ধী কোটা ছাড়া কোনো কোটাই রাখা উচিত না। আমার সাফল্য লাভ আমাকে মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে অর্জন করতে হবে, কোটা দিয়ে নয়।
রাষ্ট্র গঠন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, নৈতিকতা বোধ রক্ষায় মেধাভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। তাই আমি মুক্তিযোদ্ধার নাতি হিসেবে কোটা পদ্ধতি বিলুপ্ত ঘোষণা করার পক্ষে অবস্থান করলাম। কারণ আমি মনে করি, দেশে মেধার সঠিক ব্যবহার না হলে দেশপ্রেম, মূল্যবোধ অক্ষুণ্ন হবে। কোটা পদ্ধতি বিলুপ্ত হউক। মেধার জয় হউক।মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি রইলো অগাধ শ্রদ্ধা।