কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের
কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ এবং ছাত্র সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার দাবি জানান তারা। এছাড়া কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১২ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। ছাত্র সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর আগে ১১টায থেকে ১২ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে স্লােগান দিতে থাকেন।
এ সময় তাদের ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ‘একাত্তরের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারাবাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’ ‘মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল, পরিপত্র পুনর্বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল সরকারি চাকরিতে (১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণি) সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে ‘কোটা সংস্কার’ করা; কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করা।
এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে, স্বাধীন বাংলায় সেই বৈষম্য যেন আর না থাকে তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ জেগে উঠেছে। দেশে বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষার্থী চাকরি না পাওয়ার হতাশায় ভুগছে। এদিকে কোটা চাকরিতে বহাল রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে। কোটা থাকার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। অথচ কোটাধারীরা সুবিধা পাচ্ছে। তাই আমরা বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চাই।
আরও পড়ুন: প্রধান ফটক অবরোধ করে অবস্থান শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য বিষফোঁড়ার মতো। এতে করে চাকরি প্রার্থী শিক্ষার্থীরা দিন দিন হতাশাগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে। আমরা একটা পরিসংখ্যানে দেখতে পাই দেশের ২ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য চাকরি সুবিধা ৫৬ শতাংশ আর দেশের সিংহভাগ ৯৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য চাকরি সুবিধা ৪৪ শতাংশ। এতে বোঝা যাচ্ছে চাকরি সুবিধার ক্ষেত্রে কতটা বৈষম্যের শিকার করা হচ্ছে সাধারণ জনগোষ্ঠীর জন্য। আমরা পাকিস্তান থেকে মুক্তি চেয়েছি মুক্তি পেয়েছি তাদের শোষণ ও বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে। কিন্তু আমরা পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেলেও এখনো বৈষম্য থেকে মুক্তি পায়নি দেশের