ববি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আন্দোলনে মারামারি ঘটনা তদন্তে কমিটি
সার্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ পালন করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে দুটি সংগঠনের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২ জুলাই) বিকালে রেজিস্ট্রার মো.মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিউল আলমকে আহ্বায়ক ও রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন,পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খোরশেদ আলম ও একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজ আলম। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রার বরাবর প্রেরণের জন্য বলা হয়।
প্রসঙ্গত, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা দুটি গ্রুপ আলাদা আলাদা ব্যানারে কর্মবিরতি পালন করতে আসে। সকাল ৯টার দিকে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ডিরেক্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানার সরিয়ে ফেলার জন্য বলেন কর্মকর্তাদের আরেকটি গ্রুপ ববি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এতে প্রথমে উভয়পক্ষে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরে। সকাল ১১টার দিকে পুনরায় ব্যানার নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে এসে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং দুটি গ্রুপকে দুদিকে সরিয়ে দেওয়া হয়।