১৪ জুন ২০২৪, ১১:১৬

তিতুমীর কলেজের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক সংকট, পাঠদান ব্যাহত

সরকারি তিতুমীর কলেজ  © টিডিসি ফটো

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের বিভিন্ন বিভাগে তীব্র শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কোর্সের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষক না থাকায় তাদের যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। এমন পরিস্থিতিতে কলেজের কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা নিয়ে উদ্বেগে দিন পার করছেন।

সরজমিনে জানা গেছে, মার্কেটিং বিভাগে আট শিক্ষকের স্থলে আছেন মাত্র চারজন। বাকি চার শিক্ষকের পদই শূন্য। অনার্স ও মাস্টার্স মিলিয়ে পাঁচটি বর্ষের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। অথচ গণিতের জন্য কোন শিক্ষকই নেই বিভাগটিতে। 

কলেজটির মাকের্টিং বিভাগ ছাড়াও আরো কিছু বিভাগ ভুগছে শিক্ষক সংকটে। বিভাগগুলোর মধ্যে মনোবিজ্ঞান দু’জন ও পরিসংখ্যান বিভাগে আছেন মাত্র তিনজন শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের দাবি, কলেজটিতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক পোস্টিং দেওয়া হোক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, শিক্ষক না থাকায় নিয়মিত ক্লাস হয় না। এতে তারা পিছিয়ে পড়ছেন। পরীক্ষাও পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে তারা উদ্বেগে আছেন।

মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের বিভাগের শিক্ষক সংকট রয়েছে। অন্তত আমাদের দু’জন লেকচারার দরকার। কম শিক্ষক থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্লাসের কোয়ালিটি ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।


  
কলেজটির অধ্যক্ষ ফেরদৗেস আরা বেগম বলেন, মার্কেটিং বিভাগে একজন শিক্ষক চলে যাওয়ায়, ঠিকমতো ক্লাস হচ্ছে না। এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান আমাকে কিছু জানায়নি। এটা উনার দায়িত্ব আমাকে অবগত করা। এমনটা হয়ে থাকলে, তিনি আমাকে জানাবেন। তারপর, আমি সেটা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।

আরো পড়ুন: একাদশে ভর্তি: নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশের তারিখ জানা গেল

তিনি আরও বলেন, মনোবিজ্ঞান ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মন্ত্রণালয়ে এই বিষয়ে পোস্ট ক্রিয়েশনের কাজ চলছে। আমাদের কলেজ থেকেই প্রথমে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে, এটা থেকেই বাকি কলেজগুলো ফলো করছে। এখানে মডেল হলো, আমাদের তিতুমীর কলেজ। এটি দ্রুত হবে বলে আশা করছি।

এ বিষয়ে মাউশির উপ-পরিচালক (কলেজ-১) মো. ওয়াহিদুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস কে বলেন, এমন কিছু হয়ে থাকলে বিষয়টির নিয়ম হলো, কলেজ অধ্যক্ষ সচিব বরাবর মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবেন। তারপর নিয়মানুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে। সে অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ হবে।