বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বাধা কাটল মেধাবী ছাত্রী আমেনার
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বাধা কাটল অসহায়, দরিদ্র্র পরিবারের মেধাবী সন্তান আমেনা খাতুনের। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির স্বপ্নপূরণে এগিয়ে এলেন যুক্তরাজ্যের সশস্ত্রবাহিনীর সাবেক সেনাসদস্য ইংল্যান্ড প্রবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাহমুদ শওকত আজাদ। আমেনা খাতুনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১২ জুন) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালায়ে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিন মেধাবী ছাত্রী আমেনা খাতুনের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। এ সময় তালা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, আমেনা খাতুনের পিতা কুদ্দুস আলী সরদার, মাতা মর্জিনা খাতুনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আমেনা খাতুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় ১৮১৩ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০৯৩তম মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। এছাড়াও গুচ্ছে ৭২৫তম স্থানে রয়েছে।
এর আগে, আমেনাকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তার ভর্তির জন্য এগিয়ে আসেন ইংল্যান্ড প্রবাসী মাহমুদ শওকত আজাদ। তিনি ২০ হাজার টাকা আমেনার খাতুনের ভর্তির জন্য পাঠিয়ে দেন।
আমেনা খাতুন জানান, আমি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পরীক্ষায় ‘এ প্লাস’ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিও সুযোগ পেয়েও বাবার পক্ষে ভর্তির টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছিল না। ইংল্যান্ড প্রবাসী মাহমুদ শওকত আজাদসহ যারা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আমি তাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ।
আমেনা খাতুনের পিতা কুদ্দুস আলী সরদার বলেন, ইংল্যান্ড প্রবাসী মাহমুদ শওকত আজাদ আমার মেয়ের ভর্তির জন্য এগিয়ে এসেছেন। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ।
ইংল্যান্ড প্রবাসী মাহমুদ শওকত আজাদ বলেন, মেধাবীরা আমাদের রাষ্ট্রের সম্পদ এবং সমাজের সকল বিত্তশালী মানুষেরা যদি এভাবে এগিয়ে আসে তাহলে আমাদের বাংলাদেশ এ কোনো মেধা অবহেলিত হবে না। এতে শুধুই একটি মেধাকে ক্ষয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করা নয় বরং আগামীদিনে বিশ্বের মানচিত্রে একটি শক্তি শালী এবং সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ কে প্রতিষ্ঠত করা।’ এ সময় তিনি আমেনা খাতুনের মতো দেশের অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান।