বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রীর আত্মহত্যা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের রিডিং রুমের করিডোরে গলায় ফাঁস নেন তিনি।
ওই ছাত্রীর নাম শেফা নূর ইবাদি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। আত্মহত্যার পর তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শেফার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ববির দর্শন বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের সঙ্গে শেফার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কে প্রায় তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হতো। এদিন সন্ধ্যায় তাদের দুজনের ক্যাম্পাসে দেখা হলেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। এক পর্যায়ে শেফার প্রেমিক মেজাজ হারিয়ে তাকে চড়থাপ্পড় দেন। পরে তিনি হলে ফিরে গিয়ে গলায় ফাঁস নেন।
শেফার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিতি আয়েশা সিদ্দিকা উর্মি নামে এক ছাত্রী জানান, এ ঘটনা শুনে শেফার প্রেমিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। তাদের মধ্যে কি ধরনের ঝামেলা চলছিল, আর শেফা কেনই বা আত্মহত্যা করেছে— এটা তার প্রেমিকের কাছে শুনলে বিস্তারিত জানা যাবে।
জানা যায়, শেফা এদিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে এদিন সকাল ১১টা থেকে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ববি শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচিতে প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায় শেফাকে।
তার আকস্মিক মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ও তার সহপাঠীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শেফার সহপাঠীরা এ ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিচার দাবি করেছেন।
জানতে চাইলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ ড. হেনা রাণী বিশ্বাস বলেন, মেয়েটি খুবই আবেগপ্রবণ ছিল। প্রেমিকের সাথে মনোমালিন্য হয়ে সে সুইসাইড করেছে।