বেরোবিতে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে আইন ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রশীদুল ইসলাম। তার দাবি, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ড. শাহ্জামানের পর তার এ দায়িত্বে আসার কথা থাকলেও সে বিধি মানা হয়নি। বরং জ্যেষ্ঠতার তালিকায় থাকা ২ জনকে ডিঙিয়ে তৃতীয় জনকে দেওয়া হয়েছে এ দায়িত্ব।
জানা যায়, পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহ্জামানের দায়িত্বের মেয়াদপূর্ণ হয় গত ১৯ মে। এরপর গত ২০ মে (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিভাগটির সহযোগী অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমানকে তিন বছরের জন্য বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯-এর ধারা-২৮(৩) অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ক্রম অনুযায়ী ‘বিভাগীয় প্রধান’ হিসেবে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে। বিধি অনুযায়ী দায়িত্ব পাওয়ার কথা দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামের।
ওই আইনে বলা আছে, ‘যদি কোন বিভাগে অধ্যাপক না থাকেন তাহা হইলে ভাইস-চ্যান্সেলর সহযোগী অধ্যাপকের মধ্য হইতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে একজনকে বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত করিবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টরিতে পরিসংখ্যান বিভাগে শিক্ষকদের তালিকায় দেখা গেছে, বিভাগটির চেয়ারম্যান ড. মো. শাহ্জামান। তার পরেই আছেন ড. মো. রশীদুল ইসলাম। পরে আছেন মো. সিরাজ-উদ-দৌলা। তবে তিনি বর্তমানে শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন। এরপরে তালিকায় ছিলেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান।
বিভাগে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগে আইন ভঙ্গের অভিযোগ পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রশীদুল ইসলাম তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মুখে মধু অন্তরে বিষ, আইন ভেঙে সবাই খুশি।’
এ বিষয়ে ড. রশীদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এবার আমার বিভাগীয় প্রধান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইন ভঙ্গ করে অন্য একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পরিসংখ্যান বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে আইন ভঙ্গ করা হয়নি। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে রশীদুল ইসলাম একবার বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। এখন আইন অনুযায়ী অন্য শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।