সর্বজনীন পেনশন নয়, স্বতন্ত্র বেতনস্কেল চান ইবির প্রগতিশীল শিক্ষকরা
সরকারের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতা থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রত্যাহার এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম। শনিবার (১৮ মে) সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, গত ১৩ মার্চ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত একটি প্রজ্ঞাপন শাপলা ফোরামের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের স্পষ্টত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ হতাশ ও সংক্ষুব্ধ। প্রচলিত পেনশন ব্যবস্থা স্থগিত করে সর্বজনীন নাম দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেবল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে বিশেষ বৈষম্যমূলক পেনশন চালু করার তীব্র বিরোধিতা করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম।
তারা বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও জ্ঞান-সৃজন কেন্দ্র। সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত একপেশে নীতি প্রবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ে একইসঙ্গে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করবে। পাশাপাশি মেধাবীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করবে বলে শাপলা ফোরাম মনে করে। তা ছাড়া ঘোষিত প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকসমাজ একদিকে যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অন্যদিকে এ পেশা থেকে মেধাবীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাই শাপলা ফোরাম এ ধরনের বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের জোর দাবি জানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শাপলা ফোরাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত। প্রায় তিন দশক আগে সংগঠনটির যাত্রা শুরু। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র প্রগতিশীলতার চর্চার সুযোগ সৃষ্টি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী ও হিন্দু ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ব্যবস্থা, শিক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখা এবং ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে সংগঠনটি।