আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কোডিং প্রতিযোগিতায় ঢাবিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন শাবিপ্রবি
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কোডিং প্রতিযোগিতায় (কোড সামুরাই-২৪) এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) দল ‘ডিফাইন কোডারস’। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী নাফি উল্লাহ শাফিন, ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মেহরাজুল ইসলাম ও শাওন মাজিদ।
শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরি সিনেট ভবন মিলনায়তনে দু'দিনব্যাপী চলমান প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর সমাপ্তি হয়। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০৬টি দলকে পিছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হয় 'ডিফাইন কোডারস'। এতে প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিইউ_প্রমিথিউস এবং ডিইউ_ডিলিজেন্স।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা, সালমান এফ রহমান। মলূ অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, এ ধরনের আয়োজন তাত্ত্বিক জ্ঞান ও ব্যবহারিক প্রয়োগের মাঝে ব্যবধান দুর করে, শিক্ষার্থীদেরকে বাস্তব জগতের সমস্যা সমাধানের সুযোগ ও অভিজ্ঞতা প্রদান করে। কোড সামরুাই প্রতিযোগিতার মতো ইভেন্ট শিক্ষার্থীদেরকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রকল্পগুলিতেও অবদান রাখতে সক্ষম করে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
অধ্যাপক ড. মো. মামনু অর রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, হ্যাকাথনগুলো কেবল কোডিং চ্যালেঞ্জ হিসাবে পরিচিত হলেও এগুলি আসলে সমমনা ব্যক্তিদের, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের এবং উদ্যোক্তাদের মিলিত হওয়ার একটি মঞ্চ।
এসময় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এই হ্যাকাথনকে বাংলাদেশ ও জাপানে র সহযোগিতার এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি জ্ঞান ভাগাভাগির মাধ্যমে আরও শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একইসাথে আইসিটি খাতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং জাপানি কোম্পানিগুলোর একসঙ্গে কাজ করার পারস্পরিক আগ্রহকে ও তুলে ধরেন।
এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এ. এ. মামনু চৌধুরী, জাইকা বাংলাদেশের প্রধান মি. ইচিগুচি তোমোহিদে, জেট্রো বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. ইউজি আন্দো, কোড সামরুাই ২০২৪ এর আহ্বায়ক ড. উপমা কবির। অনুষ্ঠানে জাপানের জনপ্রিয় জাদুশিল্পী মি. শুট ওগাওয়া তার মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দিয়ে সকলকে আনন্দিত করেন।