প্যারিস অলিম্পিকে যাচ্ছেন তিতুমীর কলেজছাত্র ফয়সাল
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আসর অলিম্পিক এবার অনুষ্ঠিত হবে ফ্রান্সের শহর প্যারিসে। জমকালো এই আসরে স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন ৪৫ হাজার। এ তালিকায় বাংলাদেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসাইন।
গত বছরের মে মাসে অলিম্পিকের স্বেচ্ছাসেবক বিভাগ থেকে কাজ করার প্রস্তাবনা পেয়েছেন ফয়সাল। ইতোমধ্যে অনলাইনে প্রশিক্ষণও সম্পন্ন করেছেন তিনি। সেখানে প্যারালিম্পিক ভিলেজ ইনভেন্টরি টিম মেম্বার (Paralympic Village "Inventory Team Member) বিভাগে কাজ করবেন তিনি।
ফয়সাল জানান, প্যারিস অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ আমাকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। এতে আমি আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারব। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া আসরে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করারও সুযোগ পাব।
তিনি বলেন, এই সুযোগটি আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটিকে সর্বোচ্চভাবে গ্রহণ করার চেষ্টা করব। আমি আশা করি, এই অভিজ্ঞতা আমার জীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
প্যারিস অলিম্পিকের স্বেচ্ছাসেবক প্ল্যাটফর্মটি ২০২৩ সালের মার্চ মাসে জনসাধারণের জন্য আবেদন উন্মুক্ত করে। ৩ মে নিবন্ধন শেষ হওয়ার পর প্যারিস আয়োজক কমিটির কাছে তিন লক্ষাধিক আবেদন জমা হয়। যা আগের দুটি অলিম্পিকের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্য থেকে মূল্যায়নের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয় ৪৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে।
তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসরটিতে সুযোগ পেলেও অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ফয়সালের মধ্যে। কারণ ফ্রান্সে আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে থাকা-খাওয়া সবই করতে হবে নিজ খরচে। এজন্য তিনি স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
যাওয়ার অনিশ্চয়তা প্রকাশ করে ফয়সাল বলেন, ‘সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো প্যারিস অলিম্পিক থেকে জানানো হয়েছে তারা সেখানে থাকার ব্যবস্থা করতে পারবে না। এমনকি প্যারিসে যাওয়া-আসাও করতে হবে নিজের টাকাতেই। সেখানে যাওয়া ও থাকা আমার জন্য ব্যয়বহুল। যদি কোনো স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসেন অথবা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আমার দিকে দৃষ্টি দেন, তাহলেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া আসরে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করার সুযোগ পাব।’
ফয়সাল সরকারি তিতুমীর কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এর আগে তিনি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ক্লিন এন্ড গ্রিন ক্যাম্পাসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাঁধন সরকারি তিতুমীর কলেজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যুক্ত আছেন সেভ ফিউচার বাংলাদেশ, বেটার লিভিং ফাউন্ডেশন এবং নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে।