রমজানে এক হাজার এতিম বাচ্চাকে নিয়ে ইফতার করল বিওসি
বিগত বছরগুলোর ন্যায় এ বছরেও ব্রিজস্টোন অফ ক্যাম্পাসিয়ান (বিওসি) এতিম বাচ্চাদের নিয়ে তাদের ইফতার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ করে বিওস ’র বিভিন্ন ইউনিটের শতাধিক মেম্বার।
বিওসি মূলত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যারা প্রধানত এতিম শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে থাকে। রমাদানে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ বছর ঢাকার মোট ৩টি এতিমখানায় চারটি ইফতার কর্মসূচিতে পাঁচ শতাধিকসহ ঢাকার বাইরে তিনটিতে প্রায় পাঁচশত এতিম বাচ্চার ইফতারের ব্যবস্থা করেছে।
ইফতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনটি যথাক্রমে ২১ মার্চ হাতিরঝিল আহসানুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ২২ মার্চ রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানা (মেয়ে সেকশন), ২৩ মার্চ রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানা (ছেলে সেকশন) এবং ২৭ মার্চ উত্তর মুগদা ঝিলপাড় হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ইফতার এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
ইফতার আয়োজন প্রসঙ্গে বিওসি’র কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি সাজেদুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর রমজান মাসের ন্যায় এবারও বিওসি এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে। আমরা ইতিমধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় নয় শতাধিক এতিম বাচ্চাদের ইফতার করাতে সক্ষম হয়েছি। যেটা একইসঙ্গে আনন্দের এবং গর্বের। আলহামদুলিল্লাহ,সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করছি। যিনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে ‘বিওসি’র মাধ্যমে আমাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত এতিম বাচ্চাদের ইফতার মাহফিলের বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন।
বিওসি এর একজন সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি (কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ ) হিসাবে প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকে ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের সঙ্গে ইফতার করাটা কতটা আনন্দের আসলে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমাদের বিওসি’র ইফতার মাহফিলে যারা সরাসরি বাচ্চাদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তাদের দানকে আল্লাহ তায়ালা কবুল ও মঞ্জুর করুন।’
বুটেক্স ইউনিটের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক সানজিদা সাইফ আরও বেশি সংখ্যক এতিম বাচ্চাদের পাশে দাঁড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও মানবিক দিক চিন্তা করে প্রতিবছরই আমাদের সংগঠন এতিম বাচ্চাদের নিয়ে ইফতার প্রোগ্রামের আয়োজন করে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও ইফতার প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছিল। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি ইফতারের প্রোগ্রামটিকে সফল করার।’
এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ইউনিটের সদস্য মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘শিশুদের হাসি একটা স্বর্গীয় ব্যাপার মনে হয় আমার কাছে। আর সেই স্বর্গীয় হাসির ফেরিওয়ালা ব্রিজস্টোন অফ ক্যাম্পাসিয়ান (বিওসি) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে তাদের হাসিকে সবসময় প্রস্ফুটিত রাখতে। আমিও এই হাসি ফোটানোর ফেরিওয়ালা সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকতে পেরে নিজেকে খুবই গর্বিত মনে করি।
এই মহৎ কার্যক্রমে অংশ নেয় বিওসি’র বুটেক্স ইউনিট, মুগদা মেডিকেল কলেজ (মুমেক) ইউনিট এবং জবি ইউনিট। ভবিষ্যতে এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আরও বিভিন্ন জায়গায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। উল্লেখ্য, বিওসি গত বছরও এক হাজারের অধিক এতিম বাচ্চার ইফতারের আয়োজন করেছিল।