২১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৮

জবি ছাত্রী মীমের ডিগ্রিপাপ্তির পথ খুলছে, দিতে পারবেন পরীক্ষা

জবি ছাত্রী কাজী ফারজানা মীম  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন একই বিভাগের ছাত্রী কাজী ফারজানা মীম। এ নিয়ে অভিযোগ করায় পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়েছে।

এই ঘটনার পরে মীমের ডিগ্রিপাপ্তির পথ খুলতে স্নাতক ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সম্পূরক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিম স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, স্নাতক ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের যে সকল শিক্ষার্থী বিভিন্ন সেমিস্টারে যে কয়টি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে, তাদেরকে আগামী ২৩ মার্চ থেকে ২৭ মার্চের মধ্যে সেসব বিষয়ে সম্পূরক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিভাগে আবেদন করতে হবে।

বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম বলেন, “এটা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সাধারণত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কোর্সে অকৃতকার্য হলে তারা সাপলিমেন্টারি পরীক্ষা দিতে পারে। এটা শুধু এই ব্যাচের না, বিভিন্ন ব্যাচের অকৃতকার্যরা এই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায়।”

এর আগে কাজী ফারজানা মিম সম্প্রতি অভিযোগ করেন, তার কোর্স শিক্ষক প্রভাষক আবু শাহেদ ইমন ২০২১ সালে অ্যাকাডেমিক কাজে তাকে নিজের কক্ষে ডেকে ‘যৌন হয়রানি’ করেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করায় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিম তাকে ‘ফেল করিয়ে দেন’ বলেও মিমের অভিযোগ।

আর মিমকে ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তার বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম বলছিলেন, “মিম ক্লাসই করত না। যেখানে ৬০ ভাগ ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারে না, সেখানে মিম পরীক্ষা দিয়েছে। ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে তাকে নম্বর দেওয়ার তো কোনো সুযোগই নাই।”

এছাড়া মঙ্গলবার বঙ্গভবনে জমা দেওয়া এক লিখিত আবেদনে ‘বুলিং ও যৌন নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচার’ চান এই শিক্ষার্থী। সেই সঙ্গে তার জীবনটাকে ‘পুনরুদ্ধার করার’ আকুল আর্জি জানান। তার আগে মিম গোয়েন্দা পুলিশের দপ্তরে গিয়েও ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আসেন।